অনলাইন ডেস্ক, ২০ ডিসেম্বর।। ইউরোপে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সরকারগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে নেদারল্যান্ডস শনিবার ক্রিসমাস লকডাউন এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন এটিকে ‘প্রধান ঘটনা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন সতর্ক করেছেন যে, ওমিক্রন জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভেরিয়্যান্ট প্রথম শনাক্ত করা হয়, পরে অনেক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা পুনরায় আরোপ করছে।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শপিং, সাংস্কৃতিক ও বিনোদন স্থানগুলো বন্ধ থাকবে এবং স্কুলগুলো অন্তত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্রিসমাসে বিশেষ দিন বাদে ডাচরা তাদের বাড়িতে অনুমোদিত অতিথির সংখ্যায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী রুটে এক টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নেদারল্যান্ডস আগামীকাল থেকে লকডাউনে ফিরে যাবে।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ব্রিটিশ রাজধানীতে কভিডকে একটি ‘বড় ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটেনে চলতি সপ্তাহে টানা তিন দিন রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হয়েছে, নতুন করে করোনা মোকাবিলায় আরেকটি লকডাউন বিবেচনা করা হচ্ছে। লন্ডনে বেশির ভাগ ওমিক্রন ভেরিয়ান্ট শনাক্ত।
জার্মান স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, করোনা সংক্রমণে ব্রিটেনকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে, এতে ভ্রমণকারীদের জন্য কঠোর বিধি-নিষেধ আসতে পারে।
রবিবার দিনের শেষে মধ্যরাত থেকে ব্রিটেন থেকে আগতদের টিকা দেওয়া হোক বা না হোক তাদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে।
এর আগে যুক্তরাজ্য থেকে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফ্রান্স।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স শুক্রবার বলেন, বিদ্যুতের গতিতে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটি।