স্টাফ রিপোর্টার, জিরানীয়া, ১৬ ডিসেম্বর।। কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে প্রাকৃতিক চাষাবাদ অবলম্বন করা এবং কম খরচে অধিক লাভ করার বিষয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন হয় গুজরাটের সর্দার প্যাটেল অডিটরিয়ামে।
আজ সকালে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতি হলে কৃষকদের উদ্দেশ্যে দেখানো হয়। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই আয়োজন।
জিরানীয়া ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির হলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, জিরানীয়া কৃষি মহকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সুব্রত দাস সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে আগত প্রধান এবং উপপ্রধানগণ।
অনুষ্ঠান শেষে হলে উপস্থিত কৃষক ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক কৃষি অর্থাৎ অর্গানিক ফার্মিং এর উপর আমাদের জোর দিতে হবে। জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈবিক উপায়ে কৃষিকাজ করতে হবে।
এর ফলে শাকসব্জীর মধ্যে যেমন বিভিন্ন গুণাবলী বজায় থাকবে এবং বিভিন্ন রোগ থেকেও আমরা বাঁচতে পারব। তাই ভারত সরকার প্রাকৃতিক উপায়ে সব্জী চাষের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের রাজ্যেও এই প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষিকাজ করতে হবে।
তাই তিনি কৃষকগণের জৈবিক চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ দেখাতে আহ্বান জানান। তিনি কেঁচো সার এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, কেঁচো সার এর ব্যবহারের ফলে সব্জীর গুণাবলী বজায় থাকে। উদাহরণ স্বরূপ তিনি সিকিম রাজ্যের কথা বলেন।
তিনি কৃষি তত্ত্বাবধায়ককে জিরানীয়া মহকুমায় সমস্ত কৃষকদের নিয়ে অর্গানিক ফার্মিং এর উপর সেমিনার করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কৃষকরা হল আমাদের অন্নদাতা, তাদেরকে আমাদের অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি চলে আসছে।
এর ফলে কৃষকদের আয়ও বাড়ছে। কারণ কৃষকদের উন্নতি হলেই দেশ আত্মনির্ভর হবে। তিনি কেসিসি, ফসল বীমা যোজনা, পিএম কিষাণ, সয়েল হেলথ কার্ড প্রভৃতি নিয়েও আলোচনা করেন।