অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর।। টানা সাতদিনের লড়াই শেষ, প্রয়াত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। তামিলনাড়ুর কপ্টার দুর্ঘটনায় ছিলেন তিনি। কপ্টার দুর্ঘটনায় ১৪ জনেরই মৃত্যু হল। কপ্টারে ছিলেন বিপিন রাওয়াত সহ মোট ১৪ জন। CDS বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জনের আগেই মৃত্যু হয়। আজ, বুধবার ব্যাঙ্গালুরুর সেনা হাসপাতালে মারা গেলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং।
এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চিফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত সহ তাঁর পত্নী মধুলিকা রাওয়াতের। গত ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর কুন্নুরে নীলগিরি পার্বত্য দুর্গম পাহাড়ে ভেঙে পড়ে কপ্টার MI-17V5 আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে উদ্ধার করে ওয়েলিংটন সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
দেহের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালেই মারা যান CDS বিপিন রাওয়াত। সেইসঙ্গে মৃত্যু হয় বাকি ১৩ জনের। আশঙ্কাজনক উদ্ধার করে ওয়েলিংটন সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। তাঁর শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানান। অবস্থার অবনতি তাঁকে ওয়েলিংটন সেনা হাসপাতাল থেকে ব্যাঙ্গালুরুতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হল ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের।
CDS বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী রাওয়াত ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে কপ্টারে থাকা প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার লখবিন্দর সিং লিডার, স্টাফ অফিসার লেফটেটন্যান্ট কর্ণেল হরজিন্দর সিং, উইং কমান্ডার পৃথ্বী চৌহান, স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রানা প্রতাপ দাস, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আরক্কাল প্রদীপ, হাবিলদার সাতপাল রাই, নায়েক গুরসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্স নায়েক বি সারি’র। এই অভিশপ্ত কপ্টার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংকে। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সাতদিন লড়াই চালিয়ে আজ ব্যাঙ্গালুরুর সেনা হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর।
এক বছর আগে ঠিক এই রকম একটি কপ্টার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। আকাশে সেনা কপ্টারটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ঠিক সেই সময় অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে তিনি চপারটিকে নামাতে সক্ষম হয়েছিলেন। অসামান্য এই বীরত্বের জন্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং এই বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘শৌর্য চক্র’ ভূষিত হন।