স্টাফ রিপোর্টার, জিরানিয়া, ১৩ ডিসেম্বর।। নিজস্ব পুলিশ রুলস তৈরীর জন্য বিশেষ অধিবেশন করতে হবে। আজ একথা জানান এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা।
আজ এডিসির উদ্যোগে পশ্চিম জোন্যাল অফিস প্রাঙ্গণে মহারাজা কিরটি বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন মাধ্যমে মহারাজা কিরীট বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর প্রতি কৃতিতে পুস্পার্ঘ অপর্ণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন । সকল অতিথি বৃন্দ পুস্পার্থ অপর্ণ করে শ্রদ্ধা করেন ।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখসচেতক তথা এমডিসি রবীন্দ্র দেববর্মা, পশ্চিম জোন্যাল যুগ্ম চেয়ারম্যান তথা এমডিসি গনেশ দেববর্মা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন খুমুলুঙ সাবজোন ভাইস চেয়ারম্যান সুধীর দেববর্মা, খুমুলুএ সাবজোন চেয়ারম্যান কৃপেশ দেববর্মা, বেলবাড়ী সাবজোন চেয়ারম্যান শান্তনু দেববর্মা, মান্দাই সাবজোন চেয়ারম্যান বিনয় দেববর্মা, খুমুলুঙ সাবজোন চেয়ারম্যান সন্ধ্যারাম দেববর্মা এবং সমাজসেবী লেমন দেববর্মা।
সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম জোন্যাল চেয়ারম্যান রঞ্জিত দেববর্মা। স্বাগত ভাষণ রাখেন পশ্চিম জোন্যাল আধিকারিক উপেন্দ্র দেববর্মা। আজ দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা উদ্বোধনী ভাষণে বলেন ১৯৯৪ সালে কংগ্রেস যুবসমিতি জোট পরিচালন কমিটি এডিসি পুলিশ বিল অনুমোদন করে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের মাধ্যমে পাঠিয়েছিল।
রাজ্যপাল ২০০৭ সালে পুলিশ আইন অনুমোদন করেছিল। কিন্তু পুলিশ রুলস তৈরী করতে ১০ দিনের বিশেষ অধিবেশন প্রয়োজন । এই সময়ে পুলিশ রুলস তৈরীর জন্য জনপ্রতিনিধিগণ আলোচনা করবেন। তারপর রুলস তৈরী করা হবে। রুলস তৈরী হবার পর এডিসি পুলিশ বিভাগে সরাসরি লোক নিয়োগ করতে পারবে ।
এডিসির চেয়ারম্যান শ্রীদেববর্মা বিশেষ অধিবেশন ডাকতে হবে। তিনি আরও বলেন এডিসি এলাকায় জনজাতিদের অস্থিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। ১৯৮৫ সালে এডিসি গঠন হবার সময় জনজাতি জনসংখ্যা ছিল ৮৮ শতাংশ। অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ।
আজকের দিনে জনজাতির জনসংখ্যা ৮৪ শতাংশে নিয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধিপেয়ে ১৬ শতাংশ নিয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি মন্তব্য । এই থেকেই প্রমানিত এডিসি এলাকায় জনজাতি জনগণের সংখ্যা কমছে।
এডিসিতে মাত্র নতুন পরিচালন কমিটি ক্ষমতায় এসেছে। এখন ও বাজেট তৈরী করা সম্ভব হয়নি। ২০২১-২২ বাজেট তৈরী হবার পর পরিচালন কমিটি এডিসি এলাকার উন্নয়নে কাজ আরম্ভ করবে। জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা নির্দেশ চলছে।
দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ আরম্ভ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন মহারাজাদের আমলে হাসপাতাল, উমাকান্ত বোধজং, মহারানী স্কুল, এম.বি.বি. কলেজ সহ শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাংশ রাজনৈতিক দল সবসময় মহারাজাদের বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। আরও বলেন মহারাজাই দেশের প্রথম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্বোধনা জ্ঞাপন করেছিল ।
শান্তিনিকেতন গড়ে তোলতে আর্থিক সহায়তা করেছিল। ত্রিপুরার রূপকার বলা হয় রাজাদের। মুখ্যসচেতক তথা এমডিসি রবীন্দ্র দেববর্মা বলেন জি.বি. হাসপাতাল নির্মাণ করতে মহারাজা নিজেদের জমি দান করেছিল।
পশ্চিম জোন্যাল চেয়ারম্যান তথা সভাপতির ভাষণে রঞ্জিত দে বলেন আর্থিক সীমিত ক্ষমতার মধ্যে এডিসি এলাকার বসবাসকারী জনগণের উন্নয়নে কাজ শুরু করা হয়েছে। উপস্থিত অতিথিবর্গ বিভিন্ন ভিলেজ কমিটি থেকে আগত দুঃস্থ জনগণের হাতে শীতের কম্বল তোলে দিয়েছেন।