স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১০ ডিসেম্বর|| সিবিএসসি পরিচালিত উমাকান্ত একাডেমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসন লাগো য়া। বাস্তবে উমাকান্ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টি শিশু বিহার স্কুলের একটি অংশে অবস্থিত। যার ফলে দুই স্কুলের ঐ পঠন পাঠনে অস্বাভিক ব্যাঘাত ঘটছে। দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষক স্বল্পতায় স্কুল টি ভুগছে।
স্কুল থেকে ই সাতজন 10323 যার পোশাকি নাম শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়াই শেষ নয়। পরবর্তী সময়েও স্কুল থেকে 9 জন বিভিন্ন বিষয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকা কে এক এক করে বদলি করা হয়। তাদের মধ্যে এক আশিস পাল 2 প্রাণেশ সর্কার 3 ধনঞ্জয় দাস 4 সুমিতা বসু মজুমদার 5 অর্পিতা সাহা 6 তপন চক্রবর্তী 7 দেবাশীষ বণিক 8 অরুনাভ মজুমদার নয় বাবুল সূত্রধর। এছাড়াও 6 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কে বিভিন্ন স্কুল ও বিভিন্ন অফিসে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে।
এই অবস্থার দরুন শিক্ষক স্বল্পতা চরমে পৌঁছেছে। শুধুমাত্র বুনিয়াদি স্তর এর চিত্র দেখলেই অনুধাবন করা যাবে, মধ্যশিক্ষা স্টরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভাব কি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি অব্দি পাঠরত 562 জন ছাত্রের জন্য সিবিএসসির নীতি অনুযায়ী যেখানে নূন্যতম 18 জন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকতেই হবে সেখানে এই প্রাথমিক স্তরের জন্য বিদ্যালয়টিতে একজন শিক্ষক শিক্ষিকাও নেই।
একইভাবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর 417 জন শিক্ষার্থীর জন্য সিবিএসসির নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে 13 জন শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রয়োজন, উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শ্রেণী গোলটির জন্য এই বিদ্যালয় বর্তমানে আছেন 6 জন। আগে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্য শিক্ষ স্তরে এই চিত্র আরো করুন এবং দুর্ভাগ্যজনক।
বিষয়ে শিক্ষকদের অপ্রতুলতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বেশকিছু বিষয় পড়ানোর মতো শিক্ষক-শিক্ষিকাই নেই। তার জন্য প্রধান শিক্ষক বাধ্য হয়ে স্কুল অধিকর্তা কে চিঠি দিয়েছেন স্কুলের সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে। এরপরও রাজধানীর এই স্কুলকে বৃদ্ধা জ্যোতি স্কুল নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।