স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর।। ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ভুলে ভরা এডমিট কার্ড পাঠিয়েছে৷ আর এই এডমিট কার্ড হাতে পেয়ে ভিমরি খাবার জোগাড় পরীক্ষার্থীদের৷ এডমিট কার্ড দেখে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা হতবাক হয়ে পড়েছেন৷ কারো এডমিট কার্ডে জন্মের তারিখ ভুল৷ আবার কারো এডমিট কার্ডে মাস ঠিক নেই, বছরেও গোলমাল৷ এডমিট কার্ড দেখে বুঝার উপায় নেই পরীক্ষার্থীর বয়স কত৷
এডমিট কার্ডে এমনই সব ভুল রয়েছে যে কারণে কারোর বয়স বেশি আবার কারো বয়স কম৷ অভিভাবকরা এই এডমিট কার্ড দেখে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা৷ কারণ, তার সন্তানের জন্মের তারিখেই যে গোলমাল৷ অনেকের তো এডমিট কার্ড দেখলে মনে হবে ওই পরীক্ষার্থীর বয়সে অনেক ছোট, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তো দূর প্রাইমারি সুকলে পড়ছে৷ তবে ভুলে ভরা এডমিট কার্ড সংশোধন করে দেয়া হবে বলে অভয় দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি ড. ভবতোষ সাহা৷
তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পরীক্ষা শেষ হবার পরপরই নির্ভুল এডমিট কার্ড পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে৷
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভুল নতুন নয়৷ ভুল করার দৌড়ে ধারাবাহিকতা এখনো পর্ষদ বজায় রেখেছে৷ মার্কশিটে ভুলের কত কাণ্ড অতীতে অনেক ঘটেছে৷ এবার এডমিট কার্ডেই ভুল৷ সেই ভুলে ভরা এডমিট কার্ড পরীক্ষার্থীদের কাছে পর্ষদ পাঠিয়েছে৷
আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে টার্ম ওয়ান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে৷ সভাপতি ডা. ভবতোষ সাহা জানিয়েছেন, পরীক্ষা দিতে যাতে কোন অসুবিধা না হয় পর্ষদ এব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে৷ ২৯ ডিসেম্বর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে৷ নির্ভুল এডমিট কার্ড পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই৷ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ৭ জানুয়ারি শেষ হবে৷
ভুলে ভরা এডমিট কার্ড পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর পরপরই জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে৷ ১৯৭৬ সালে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যাত্রা শুরু৷ পর্ষদের এত বছরের ইতিহাসে এমন কাণ্ড এর আগে হয়নি বলে মনে করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা অনেকেই৷ সূত্রে খবর, বহির্রাজ্যের এজেন্সিকে এডমিট কার্ড তৈরির জন্য পর্ষদ দায়িত্ব দেয়৷ যে এজেন্সি এই কাজের বরাত পেয়েছে সেই এজেন্সি দিল্লির৷
এডমিট কার্ড তৈরির যাবতীয় কাজ পর্ষদের নির্দিষ্ট ঘরেই হতো৷ এবছরও সেই ঘরেই হয়েছে৷ কিন্তু এই কাজে ডেজিগনেটেড প্রোগ্রামার থাকার পরও দায়িত্বে রাখা হয়নি৷ এমনকি পর্ষদের আধিকারিক, অভিজ্ঞ কর্মচারীদেরও বাদ রাখা হয়েছে৷
শুধুমাত্র পর্ষদ সভাপতিই এই ব্যাপারে তদারকি করেছেন৷ পর্ষদের আধিকারিক ও কর্মচারীরা জানতেই পারেনি যে এডমিট কার্ড তৈরির কাজ বহির্রাজ্যের কোন এজেন্সিকে দিয়ে করানো হবে৷ সভাপতি যে কারণেই হোক বিষয়টি গোপনে করেছেন৷ সভাপতির কাছে যোগাযোগ করলে তিনি পরিষ্কার ভাবেই জানান, এজেন্সির নাম বলা যাবে না৷