অনলাইন ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বর।। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও এটি আগের ভ্যারিয়েন্ট এবং ঢেউগুলোর মতো ভয়ঙ্কর হবে না এমনটাই বলছেন তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নেটওয়ার্কের বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, তুলনামূলকভাবে ওমিক্রনের উপসর্গগুলো হালকা।
তাদের পর্যবেক্ষণ, করোনার আগের তিনটি ঢেউ যেভাবে ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল, কভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট ততটা বিপদ ডেকে আনছে না।
সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ফ্রিডল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত তিনটি ঢেউয়ের তুলনায় ওমিক্রনের উপসর্গগুলো ততটা মারাত্মক নয়। ’
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য দু’টি হাসপাতালও একই মত প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, কভিড আক্রান্ত অধিকাংশেরই অক্সিজেন লাগছে না বা আইসিইউতে নিতে হচ্ছে না। তবে, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞেরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন।
বেসরকারি ওই স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থাটির হাসপাতালগুলোতে যে করোনা রোগীরা ভর্তি আছেন, তাদের ৯০ শতাংশকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭ রোগীর মধ্যে আটজনকে ভেনন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ৮০০ কভিড রোগীকে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ টিকা নেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা একই।
তাদের একটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কভিড লক্ষণ নিয়ে ৩২২ জনকে ভর্তি করানো হয়। তাদের মাত্র ২০ শতাংশকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। রোগীদের ৩০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে।
রিচার্ড ফ্রিডল্যান্ড বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে- চতুর্থ তরঙ্গে রোগীদের প্রাথমিক স্তরেই চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। ’
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এখন পর্যন্ত ৫৭টি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।
তাদের দাবি, গত ৯ নভেম্বর এক ব্যক্তির নমুনা থেকে প্রথম ল্যাব কর্তৃক নিশ্চিত ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় যা ২৪ নভেম্বর ঘোষণা দেওয়া হয়।