স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা,৭ ডিসেম্বর|| তিন বীরঙ্গনা কন্যা কুমারী মধুতি রুপশ্রী নামাঙ্কিত উপজাতিদের জন্য অতিথিশালা টির আনুষ্ঠানিক দ্বারোদঘাটন হলো মঙ্গলবার। উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া অতিথিশালার আনুষ্ঠানিকতার দ্বারউদঘাটন করেন।
২০১৩ সালে কুমারী মধুতি রুপশ্রী জনজাতিদের আবাসনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল । মঙ্গলবার জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়ার হাত ধরে উদ্বোধন হলো এই অতিথিশালা। প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয় করে মোট ৬৪ আসন বিশিষ্ট এই অতিথিশালা গড়ে উঠেছে ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তর এর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পুনিত আগরওয়াল, দফতরের অধিকর্তা বিশাল কুমার সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন এটা ছিল দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও স্বপ্ন ।
আগরতলা শহরের মধ্যে জনজাতিদের জন্য একটি আধুনিক মানের অতিথিশালা নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। ৬৪ টি আসন বিশিষ্ট এই অতিথি শালায় ভিআই পি , ডাবল রুম, সিঙ্গেল রুম ও ডরমেটরি আছে।
এই অতিথিশালা নির্মাণের জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই প্রথম আগরতলা শহরে জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় আধুনিক মানের রেস্ট হাউস জনজাতিদের জন্য দেওয়া গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই কার্য সম্পাদন করা গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন প্রতিদিন বহু গরীব দুঃস্থ পরিবার আগরতলামুখী হয় চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করতে এবং নানা কারণে। এতদিন তাদের আগরতলায় থাকতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত।
এবার ন্যূনতম মূল্যে এই রেস্ট হাউসে সেই সমস্ত জনজাতি অংশের মানুষ থাকতে পারবে। মাত্র ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্য দিয়ে তারা এখানে থাকবে। বি পি এল ও প্রায়োরিটি গ্রুপকে এই ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হবে বলেও জানান।
অতিথিশালাটির নির্মাণকাজ আরো আগেই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু করোনার কারণে নির্মাণ কাজ কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় এই রেস্ট হাউস তৈরি হতে সময় লেগেছে বলে জানান দপ্তরের মন্ত্রী।