অনলাইন ডেস্ক, ৭ ডিসেম্বর।। ওমিক্রন ক্রমশই আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলছে। তবে এখনই লকডাউন নয় বলে জানিয়ে দিল দিল্লির সরকার। তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে জানিয়েছে কেজরিসরকার। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি এই কথা জানান দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লির সরকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, পরিস্থিতি ও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভারত এবং অন্যান্য দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে পাওয়া উপসর্গগুলি পর্যালোচনা করার পর যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাতে দেখা গিয়েছে ওমিক্রনের উপসর্গগুলি সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলির উপসর্গের থেকে অনেকটাই আলাদা। রাজধানীতেও দিল্লিতেও ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন। উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যের। এমনিতেই দূষণ জ্বরে কাবু গোটা দিল্লি। তার ওপর ওমিক্রনের আতঙ্ক ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে।
সোমবার সাংবাদিকদকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, দিল্লি সরকার সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে তাই এই নিয়ে রাজ্যবাসীকে অহেতুক চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তবে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, বেশ কিছু দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়ার কারণে যাত্রীদের পরীক্ষা ও শনাক্তকরণের ওপরই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। ওমিক্রনে প্রভাবিত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব দেশের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেই দেশগুলি থেকে আগত পর্যটকদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এখনও অবধি ২৭ জনকে এলএনজেপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই করোনা আক্রান্তদের মধ্যে একজনের দেহেই ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, এবং বাকিদের নমুনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রত্যেকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগেরই কোনও উপসর্গ ছিল না। যে ১০ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, তাঁরা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। আক্রান্ত ১২ জনের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে একজনের দেহের ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। বাকি পাঁচ আক্রান্তে রিপোর্ট ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বে ওমিক্রন মাথাচাড়া উঠেছে। তবে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ঠিক কতটা মারাত্মক তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। তবে ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা চলছে।