স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩ ডিসেম্বর।। অদ্ভুত আবদার পরীক্ষার্থীদের৷ নিয়ম মেনে ২০১৫ সাল থেকে পরীক্ষা নিচ্ছে টিআরবিটি৷ পরীক্ষার পর সম্ভাব্য উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়৷ এরপর পরীক্ষার্থীদের বলা হয় এই সম্ভাব্য উত্তরপত্রের উপর কোন আপত্তি ও বক্তব্য থাকলে তা জানানোর জন্য৷ সেই বিষয়টি জানানো হবে বিষয় বিশেষজ্ঞের কাছে৷ তারাই বিবেচনা করে জানাবে৷
এরপর চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়৷ ২০১৯ সালে দেড় লক্ষের উপর পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু কখনো এবারের মতো ঝামেলা হয়নি৷ পরীক্ষার্থীদের বারবার বলা হয়েছে আইনের মধ্যে থেকে যা যা করার তাই করেছে টিআরবিটি৷ বিষয় বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে ৮টি প্রশ্ণপত্র পরীক্ষার্থীদের পক্ষে দিতে বলেছে৷
অন্যদিকে, পেপার টু-র সোশ্যাল স্টাডিজে নয়টি প্রশ্ণপত্র পরীক্ষার্থীদের জন্য বদল করা হয়েছে৷ বিজ্ঞান ও অঙ্ক বিষয়ে ১৩টি প্রশ্ণে সুবিধা পাবে পরীক্ষার্থীরা৷ সেই মোতাবেক চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে৷ এরপরেও কিছু পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি৷
তাদের দাবি যে বই তারা পড়েছে সেই বই অনুযায়ী উত্তরপত্র প্রকাশ করতে হবে৷ এটা ভারতবর্ষের কোথাও ঘটে না৷ পরীক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী চূড়ান্ত উত্তরপত্র তৈরি করতে হবে৷ শুক্রবার টিআরবিটি কার্যালয়ে গিয়ে টেট ওয়ানের কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ দেখায়৷ তারা সঙ্গে নিয়ে যায় কিছু বই৷
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন টিআরবিটি’র পরীক্ষা নিয়ামক প্রত্যুষ রঞ্জন দেব৷ বিশেষজ্ঞদের এই বিষয়ে বাছাই করা হয়৷ তারা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যা বলেছে সেই মোতাবেক চূড়ান্ত উত্তরপত্র তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
এতবছর পরীক্ষা নেওয়া হলেও কোন সময় পরীক্ষার্থীরা এই ধরনের ঝামেলা ও অন্যায় আবদার কখনো করেনি বলে জানান তিনি৷ তাদের দাবি কোন মতেই মান্যতা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান টিআরবিটি’র পরীক্ষা নিয়ামক শ্রী দেব৷