অনলাইন ডেস্ক, ২০ নভেম্বর।। শুধু করোনাতেই যে মানুষের দমবন্ধ হয়েছে তা নয়, অনেক সময় করোনা রিপোর্টেও মানুষের চোখ উঠেছে কপালে। সেই শুরু থেকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। এই রূপ ঘটনা নতুন না হলেও এই বিভ্রান্তির মাঝে পড়ে অনেকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবারও এক রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে। আর এই ভুল রিপোর্টের জেরে বিয়েটাই হয়ে গেল ভন্ডুল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, বড়বেলুন গ্রামের বছর ছাব্বিশের এক তরুণীর বিয়ে ছিল আগামী রবিবার। স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের প্যান্ডেল বাঁধা থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজনও সব সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এদিকে বিয়ের আগে মঙ্গলবার ওই তরুণী বর্ধমানে ডেন্টাল হাসপাতালে যান দাঁতের স্কেলিং করতে।
সেখানেই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। আর রিপোর্ট আসে পজেটিভ। এরপরই স্বাস্থ্য দফতর থেকে নিয়মমাফিক সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভাতারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ব্লক প্রশাসনের কাছে। আর তারপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক সহ ভাতার থানার পুলিস ওই তরুণীর বাড়িতে যান এবং বিয়ে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে পাত্রীর দাবি, তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওই তরুণীর আরও বক্তব্য, “আমার কোনও উপসর্গ ছিল না। পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর সন্দেহ হলে আমি পুনরায় করোনা পরীক্ষা করাই। বৃহস্পতিবার আমার নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাহলে কোনটা ঠিক?” এতো আয়োজনের পরেও মেয়ের বিয়ে হবে না দেখে মাথায় হাত তরুণীর বাবার। তিনি বলেন,”আমি প্রশাসনের কাছে বারবার অনুরোধ করেছিলাম যাতে বিয়েটা অন্তত হয়। হাটবাজার সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমার চরম ক্ষতি হয়ে গেল।”
পাত্রীর মাও দুঃখপ্রকাশ করেছেন, তার গলায় হতাশার সুর,”সবজি বাজার সবকিছুই তো কেনা হয়ে গিয়েছে। এখন কী হবে জানি না।” এইরূপ ‘বিভ্রান্তি’ প্রসঙ্গে ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাসের বক্তব্য,,”ওই তরুণীর দুটি রিপোর্ট সম্পর্কেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ও স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতোই বিয়ে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আপাতত নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।”