অনলাইন ডেস্ক, ১৬ নভেম্বর।। রাশিয়ার স্যাটেলাইট বিধ্বংসী (অ্যান্টি-স্যাটেলাইট) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত ক্রুদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে।
রাশিয়ার স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেও মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসি বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে রাশিয়া নিজেদের একটি স্যাটেলাইট ধ্বংস করে।
এতে সেখান থেকে তৈরি বর্জ্যের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ক্রুরা স্টেশনের ভেতরে ক্যাপসুলে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার ওপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ আরও আগে রাশিয়া তাদের একটি স্যাটেলাইটকে লক্ষ্য করে বেপরোয়াভাবে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে কক্ষপথে ১৫০০ টুকরো বর্জ্য তৈরি করেছে যেগুলো দেখা যায়। এছাড়া আরও হাজার-হাজার ক্ষুদ্র বর্জ্য তৈরি করেছে যা মহাকাশে সব দেশের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। ’
তবে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রাসকোসমস্ এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
সংস্থাটি টুইট করে বলেছে, রাশিয়ার স্যাটেলাইট ধ্বংস হওয়ার পর যেসব টুকরো বর্জ্য তৈরি হয়েছে, সেগুলো দ্বারা অন্য কিছুর ক্ষতি হয়নি। তবে যে জায়গাটিতে এটি ঘটানো হয়েছে সেটি এখনো দেখা যাচ্ছে।
দেখে মনে হচ্ছে, মিসাইলের আঘাতে রাশিয়ার কসমস- ১৪০৮ স্যাটেলাইটটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এটি ১৯৮২ সালে গুপ্তচর স্যাটেলাইট হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটির ওজন এক টনের মতো এবং অনেক আগেই স্যাটেলাইটটি অকেজো হয়ে যায়।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট ধ্বংস করার ক্ষমতা বেশ কিছু দেশের রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ভারত অন্যতম।
এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া করা খুবই বিরল। কারণ, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মহাকাশে মারাত্মক দূষণ হয়।
এর আগে ২০০৭ সালে চীন যখন তাদের একটি অকেজো আবহাওয়া স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছিল, তখন দুই হাজারের বেশি দৃশ্যমান টুকরো হয়েছিল।