স্টাফ রিপোর্টার, জিরানীয়া, ১৪ নভেম্বর।। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে তার একটি পাকা ঘর হবে। সরকার এই লক্ষ্যেই কাজ করছে। গরিব মানুষের স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জিরানীয়া ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির হলে আজ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পে বর প্রাপকদের প্রথম কিস্তির টাকা প্রদানের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেকের জন্য পাকা ঘর হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিশ্বাসের নীতিকে মর্যাদা দিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার।
তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের অনলাইনে প্রথম কিস্তির টাকা রিলিজ করতে গিয়ে ত্রিপুরা জনজাতি, সংখ্যালঘু সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সুবিধাভোগীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময় করেছেন।
যা অতীতে এ রাজ্যের জনগণের কাছে এমন সুযোগ আসেনি।অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, দেশের সরকার সমাজের সকল অংশের জনগণের উন্নয়নে আন্তরিক। রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে নীতি নির্দেশিকা পরিবর্তন হয়েছে।
যার সুফল আজ রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৫ জন সুবিধাভোগী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে প্রথম কিস্তির ৪৮ হাজার টাকা পেয়েছেন। এরমধ্যে জিরানীয়া ব্লকে আজ এই যোজনায় ১,৮০৫ জন সুবিধাভোগী গৃহ নির্মাণের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন।
তথ্য ও সংস্কৃতির মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, প্রত্যেক সুবিধাভোগী এই যোজনায় পাকা গৃহ নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পাবেন। তাছাড়াও রাজ্য সরকার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঘর প্রাপকদের ৭০ হাজার টাকা ঋণের ব্যবস্থাও করেছে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতির মন্ত্রী বলেন, আগামী ১ বছর পর ত্রিপুরাতে ঘরের চাহিদা পুরণ হয়ে যাবে। তাছাড়াও উজ্জ্বলা যোজনায় রান্নার গ্যাস, সৌভাগ্য যোজনায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও জল জীবন মিশনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পুরণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে সরকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ।
উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস, জিরানীয়া মহকুমা শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য, জিরানীয়া ব্লকের বিডিও উৎপল চাকমা প্রমুখ।