স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ নভেম্বর।। সমবায় ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনী দিক উন্মোচনের মধ্যদিয়ে সমবায় আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রাজ্যে এখন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণের ফলে সমবায় সংস্থা ও স্বসহায়ক দলগুলির কাজে গতি এসেছে। আজ আগরতলা টাউন হলে ৬৮ তম রাজ্যভিত্তিক অখিল ভারত সমাবায় সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন।
এবারের সমবায় সপ্তাহের মূল ভাবনা হচ্ছে ‘সমবায়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি’। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে স্মরণিকা ও বার্ষিক ক্যালেন্ডারের অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব ও সমবায় নিয়ামক দিলীপ কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। ইজ অব ডুইং বিজনেসকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। সমবায় সংস্থা ও স্বসহায়ক দলগুলির সদস্যরা নিজেরা যেমন আত্মনির্ভর হচ্ছেন তেমনি অন্যদেরও স্বনির্ভর করে তুলছেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, স্বসহায়ক ও সমবায় সমিতিগুলির উৎপাদিত সমগ্রীর বাজারজাত করা ও অনলাইনে বিপণনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। রাজ্যে তৈরী হয়েছে স্বনির্ভর মানসিকতা।
তিনি বলেন গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমবায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। স্বসহায়ক দলগুলির পাশাপাশি সমবায় ক্ষেত্রের বিকাশেও সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সমবায় সমিতির ও স্বসহায়ক দলগুলির উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর গুণগত মান বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সমবায় দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্রা বলেন, আগামী দুবছরে ৩,৫০০ নতুন কো-অপারেটিভ সংস্থা তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্যাক্স, ল্যাম্পস ও সমবায় সমিতিগুলির পর্যালোচনা ও সমস্যার সমাধানসূত্র নির্ণয় করা হবে।