অনলাইন ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর।। ভারতের আপত্তির কারণে বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তনের ইতি টানার উদ্দেশ্যে করা একটি চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর কপ-২৬ সম্মেলন।
বিবিসি বলছে, গ্লাসগো ক্লাইমেট প্যাক্ট হচ্ছে প্রথম কোনো জলবায়ু চুক্তি, যেখানে কয়লা ব্যবহার থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল। কয়লাকে বলা হয় গ্রিনহাউজ গ্যাসের জন্য সবচেয়ে খারাপ জীবাশ্ম জ্বালানি।
চুক্তিতে আরও জরুরি ভিত্তিতে গ্রিনহাউজ গ্যাস উদ্গিরণ কমানো এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয় যাতে করে দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করতে পারে।
কিন্তু উষ্ণতা বৃদ্ধির সীমা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকের দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই চেষ্টা খুব বেশি এগোতে পারেনি।
পূর্ববর্তী দরকষাকষির খসড়ায় কয়লা ব্যবহার থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ভারত নেতৃত্বাধীন বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় এক পরিসমাপ্তি হয়।
ভারতের জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ভুপেন্দর যাদব প্রশ্ন তোলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যেখানে ‘এখনো উন্নয়নের নানা এজেন্ডা ও দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে’, সেখানে তারা কীভাবে কয়লা এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে?
শেষ পর্যন্ত দেশগুলো কয়লার ব্যবহার থেকে ‘ধাপে ধাপে পুরোপুরি সরে আসার’ পরিবর্তে ‘ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার’ ব্যাপারে একমত হয়।
তবে এতে দেশগুলোর নেতারা তাদের গভীর হতাশাও ব্যক্ত করেন। কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলক শর্মা বলেছেন, যেভাবে যেভাবে ঘটনাপ্রবাহ এগিয়েছে, তাতে তিনি ‘গভীরভাবে দুঃখিত’। বহু কষ্টে কান্না সংবরণ করে তিনি প্রতিনিধিদের বলেন, সম্পূর্ণ চুক্তিটি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দুনিয়াটার ভাগ্য স্রেফ একটি ‘চিকন সুতার মাধ্যমে ঝুলে আছে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো একটি জলবায়ু বিপর্যয়ের দরজায় টোকা দিচ্ছি। এখনই সময় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার। অথবা গ্রিনহাউজ গ্যাস উদ্গিরণ শূন্যে নামিয়ে আনার সম্ভাবনা শূন্য হয়ে যাবে। ’
চুক্তির অংশ অনুযায়ী দেশগুলো আগামী বছর বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে। তারা পরের বছরে আবারও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার আহ্বান জানাবে যাতে করে তাপমাত্রা ১.৫সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ থাকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই তাপমাত্রা ঠিক না রাখলে লাখ লাখ মানুষকে ভয়ানক তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে।
এই চুক্তিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও অর্থ দেওয়া যাতে করে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ সেলসিয়াস মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার যে আহ্বান, সেটা বেশি দূর এগোয়নি।
অনলাইন ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর।। ভারতের আপত্তির কারণে বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তনের ইতি টানার উদ্দেশ্যে করা একটি চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর কপ-২৬ সম্মেলন।
বিবিসি বলছে, গ্লাসগো ক্লাইমেট প্যাক্ট হচ্ছে প্রথম কোনো জলবায়ু চুক্তি, যেখানে কয়লা ব্যবহার থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল। কয়লাকে বলা হয় গ্রিনহাউজ গ্যাসের জন্য সবচেয়ে খারাপ জীবাশ্ম জ্বালানি।
চুক্তিতে আরও জরুরি ভিত্তিতে গ্রিনহাউজ গ্যাস উদ্গিরণ কমানো এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয় যাতে করে দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করতে পারে।
কিন্তু উষ্ণতা বৃদ্ধির সীমা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকের দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই চেষ্টা খুব বেশি এগোতে পারেনি।
পূর্ববর্তী দরকষাকষির খসড়ায় কয়লা ব্যবহার থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ভারত নেতৃত্বাধীন বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় এক পরিসমাপ্তি হয়।
ভারতের জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ভুপেন্দর যাদব প্রশ্ন তোলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যেখানে ‘এখনো উন্নয়নের নানা এজেন্ডা ও দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে’, সেখানে তারা কীভাবে কয়লা এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে?
শেষ পর্যন্ত দেশগুলো কয়লার ব্যবহার থেকে ‘ধাপে ধাপে পুরোপুরি সরে আসার’ পরিবর্তে ‘ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার’ ব্যাপারে একমত হয়।
তবে এতে দেশগুলোর নেতারা তাদের গভীর হতাশাও ব্যক্ত করেন। কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলক শর্মা বলেছেন, যেভাবে যেভাবে ঘটনাপ্রবাহ এগিয়েছে, তাতে তিনি ‘গভীরভাবে দুঃখিত’। বহু কষ্টে কান্না সংবরণ করে তিনি প্রতিনিধিদের বলেন, সম্পূর্ণ চুক্তিটি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দুনিয়াটার ভাগ্য স্রেফ একটি ‘চিকন সুতার মাধ্যমে ঝুলে আছে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো একটি জলবায়ু বিপর্যয়ের দরজায় টোকা দিচ্ছি। এখনই সময় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার। অথবা গ্রিনহাউজ গ্যাস উদ্গিরণ শূন্যে নামিয়ে আনার সম্ভাবনা শূন্য হয়ে যাবে। ’
চুক্তির অংশ অনুযায়ী দেশগুলো আগামী বছর বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে। তারা পরের বছরে আবারও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার আহ্বান জানাবে যাতে করে তাপমাত্রা ১.৫সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ থাকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই তাপমাত্রা ঠিক না রাখলে লাখ লাখ মানুষকে ভয়ানক তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে।
এই চুক্তিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও অর্থ দেওয়া যাতে করে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ সেলসিয়াস মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার যে আহ্বান, সেটা বেশি দূর এগোয়নি।