অনলাইন ডেস্ক, ১২ নভেম্বর।। এদেশের মেয়েরা যে যোনির স্বাস্থ্য বিষয়ে আজও যে খুব একটা সচেতন নয়, সে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায় ডাক্তারদের সাথে একবার কথা বলে দেখলেই। সারা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতোই যোনিকেও সুস্থ রাখাটা আবশ্যক, এই সরল সত্যটা বেশিরভাগ মেয়েই বোঝেন না। তার ফলে নানা ধরনের সংক্রমণ হতেই থাকে।
কনসালট্যান্ট গাইনিকোলজিস্টদের মতে, ভ্যাজাইনায় যে সমস্ত সংক্রমণ সাধারণত দেখা যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে আসবে ভালভার চারধারে রেশের প্রসঙ্গ। ত্বক আর স্যানিটারি ন্যাপকিনের মধ্যে ঘর্ষণের ফলে সাধারণত এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পিরিয়ডের সময় অন্তত দিনে তিনবার প্যাড বদলান, ফ্লো বেশি হলে আরও বেশিবারও বদলাতে পারেন। না হলেই রেশ ও অন্যান্য অস্বস্তিজনিত সমস্যা বাড়বে।
পরিণত বয়সের মহিলাদের ডায়াবেটিস থাকলে থ্রাশ বা ক্যান্ডিডায়াসিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সাধারণভাবে এগুলোকেই ইস্ট ইনফেকশন বলা হয়। ‘এ ক্ষেত্রে ভালোভায় ইরিটেশন হয় এবং দইয়ের মতো থকথকে সাদা ডিসচার্জ হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে আগে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।’
আর একটা সাধারণ ইনফেকশন হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস, এ ক্ষেত্রে জ্বালাভাব বা প্রদাহ কষ্ট দেয়। এটা ঠিক সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন নয়, সাধারণত স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার নিয়মকানুন না মানলে বা শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা খুব দুর্বল হলে এই সমস্যাগুলো বিরক্ত করে এবং ‘লোকাল ব্যাকটেরিয়াল ফ্লোরা’ পরিবর্তিত হয়ে যায়। ভ্যাজাইনাল ফ্লোরায় সাধারণত ভালো ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোব্যাসিল্লি থাকে, তার ফলেই রক্ষিত হয় ভ্যাজাইনায় উপস্থিত অ্যাসিডের মাত্রা, যাকে পিএইচ ব্যালান্স বলা হয়।
কখনো কখনো প্রচুর ওষুধপত্র, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে ল্যাকটোব্যাসিল্লি উৎপাদক ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোও মরে যায়। উলটে এমন সব ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার আরম্ভ করে যারা তেমন কোনও কাজের নয়।
তাই এই ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন, দরকারে ফের অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। টি ভ্যাজাইনালিস নামের একটি প্যারাসাইট থেকে ট্রাইকোমোনিয়াসিস নামের একটি সংক্রমণ হয়, এটি যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। যদি কোনো মহিলার এই সংক্রমণ হয়, তা হলে তার স্বামীরও চিকিৎসা প্রয়োজন, কারণ তিনিই রোগটির বাহক।