স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১১ নভেম্বর।। রাজ্যে আই টি ও আই টি ই এস শিল্পকে উৎসাহ দিতে ত্রিপুরা সরকার ‘ত্রিপুরা ডাটা সেন্টার পলিসি-২০২১’ চালু করেছে। রাজ্যের সমস্ত মাইক্রো, স্মল, মিডিয়াম ও আই টি সংক্রান্ত সরকারি, বেসরকারি এবং যৌথভাবে পরিচালিত কোম্পানী এই নীতির আওতায় আসবে। এই ডাটা সেন্টার পলিসি ৩০,১০,২০২১ থেকে মার্চ, ২০২৭ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাই একমাত্র এই সময়ের মধ্যে স্থাপিত উদ্যোগগুলি এই পলিসির আওতায় আসবে।
এই তারিখের পূর্বে স্থাপিত উদ্যোগগুলি আই টি/আই টি এস ইনসেনটিভ স্কীম ২০১৭-র আওতায় থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যে স্থাপিত উদ্যোগের যদি মালিকানা পরিবর্তন হয় তাহলে নতুন মালিকই এই পলিসির সুবিধা পাবেন।
‘ত্রিপুরা ডাটা সেন্টার পলিসি-২০২১’ এর আওতাভুক্ত উদ্যোগগুলি যে সব সুযোগ সুবিধা পাবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রাজ্য সরকার, পূর্ত দপ্তর কিংবা বেসরকারি জায়গা যেখানেই উদ্যোগ স্থাপিত হোক না কেন ৫০ শতাংশ ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হবে বছরে ১২.০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত৷ অথবা রাজ্য সরকার ভর্তুকীতে দীর্ঘ মেয়াদী (৩০ বছর) চুক্তির ভিত্তিতে জায়গা ভাড়া দেবে।
তাছাড়া, কম খরচে বিদ্যুৎ সরবরাহ, ডুয়্যাল গ্রীড পাওয়ার সাপ্লাই, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার, সোলার ও বায়ু চালিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদির সুবিধা দেওয়া হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারে ৩০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে ডাটা সেন্টার উদ্যোগগুলিকে।
যেহেতু এই উদ্যোগগুলি চব্বিশ ঘণ্টা চালু থাকবে তাই জরুরী পরিষেবার অন্তর্গত করে এগুলিকে ‘ত্রিপুরা এসেনশিয়্যাল সার্ভিসেস মেইন্টেন্যান্স অ্যাক্ট ২০১৯-এর সুবিধাও দেওয়া হবে। উদ্যোগগুলিকে মূলধনী বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ ভর্তুকীও দেওয়া হবে।
কিভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর থেকে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। রাজ্যকে ডাটা সেন্টার হাব স্থাপনের উপযুক্ত জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ত্রিপুরা সরকার এই ডাটা সেন্টার পলিসি-২০২১ চালু করেছে।
যার ফলে রাজ্যের আই টি ক্ষেত্র বিশেষ করে ডাটা সেন্টার শিল্প আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে এবং বড় মাপের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরী হবে রাজ্যে। তথ্য প্রযুক্তি সচিব তনুশ্রী দেববর্মা এই সংবাদ জানিয়েছেন।