অনলাইন ডেস্ক, ১২ নভেম্বর।। মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টারকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের একটি আদালত। খবর বিবিসি।
অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, বেআইনি যোগাযোগ ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিত করার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শুক্রবার তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সপ্তাহের শুরুতে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এখনো রায় ঘোষিত না হওয়া এ দুটি অভিযোগের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
৩৭ বছরের ফেনস্টার ছিলেন অনলাইন সাইট ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। তাকে গত মে মাসে ইয়াঙ্গুন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে আটক করা হয়।
নির্বাচিত অং সান সু চি সরকারের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করে ১ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় কয়েক ডজন স্থানীয় সাংবাদিককে আটক করা হয়, তাদের সঙ্গে আছেন ড্যানি ফেনস্টার।
ফ্রন্টিয়ারের আগে স্বাধীন অনলাইন সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ-এ কাজ করতেন ফেনস্টার। এ কারণে তিনি অভিযোগের মুখোমুখি হন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ড্যানি নিষিদ্ধ মিডিয়া আউটলেট মিয়ানমার নাউ-এর জন্য কাজ করছিলেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তিনি ২০২০ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমার নাউ থেকে ইস্তফা দেন, পরের মাসে ফ্রন্টিয়ারে যোগ দিয়ে নয় মাস কাজ করেন।
আদালতে আনা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ড্যানি ফেনস্টার।
সাংবাদিকদের আটক ছাড়াও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একাধিক গণমাধ্যমের নিবন্ধন বাতিল করেছে, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট সম্প্রচারে বিধিনিষেধ দিয়েছে। এ সবের মাধ্যমে সামরিক জান্তা সত্যকে চেপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।
আটকের পর ড্যানি ফেনস্টারকে রাখা হয় ইয়াঙ্গুনের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারে। তাকে ছাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর ধারাবাহিক চাপ দিয়ে যাচ্ছে।