অনলাইন ডেস্ক, ৯ নভেম্বর।। মিয়ানমারের শিন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী অসংখ্য বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘরবাড়ি ধ্বংসের এসব খবর যাতে না ছড়ায়, সেজন্য ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে দেয়া হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, পুরো শিন রাজ্যে ছড়িয়ে আছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব নিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করাও দুরূহ হয়ে পড়েছে।
আল জাজিরা মিয়ানমারের শিন রাজ্য থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়া থাং বিয়াক নামে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। ভারতে বসে তিনি আকস্মিকভাবে জানতে পারেন যে, মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিন রাজ্যে তার বাড়ি আগুনে ভষ্মীভূত।
থাং বিয়াকের বসবাস ছিল প্রায় ৮০০০ মানুষের বসবাস এমন শহর থান্টলাংয়ে। এটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই শহর। ১৪ই সেপ্টেম্বর তিনি তিন ছেলে ও অন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। দু’সপ্তাহ পরে সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করেন মিজোরামে।
থাং বিয়াক বলেন, পালানোর সময় সঙ্গে করে কিছুই আনতে পারিনি। আমাদের সব সহায়সম্পদ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
আমার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার খবর পাওয়ার পর ঘুমাতে পারিনি। কিছু খেতে পারিনি।
থান্টলাংয়ে কমপক্ষে ১৬০টি বাড়ি, দুটি চার্চ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ২৯ অক্টোবর। বেসামরিক সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান তীব্র করার সময় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করার পর পুরো দেশে বেসামরিক প্রতিবাদ বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলো।