অনলাইন ডেস্ক, ৯ নভেম্বর।। হার্ট অ্যাটাক, কিডনি জটিলতা বা কোনো মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য তারা হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু অনেকে বাড়ি ফিরেছেন করোনা নিয়ে।
কাইজার হেলথ নিউজের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালের তথ্য ঘেঁটে ১০ হাজারের বেশি এ ধরনের রোগী পাওয়া গেছে।
ফেডারেল ও রাজ্য রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অন্য সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ১০ হাজারের বেশি রোগীর কভিড ধরা পড়ে।
তবে এ সংখ্যা পুরোপুরি গণনা করা হয়নি।
আক্রান্তদের বেশির ভাগই ৬৫ বছর ও তার বেশি বয়সী। তাদের সঙ্গে আছে ক্যালিফোর্নিয়া ও ফ্লোরিডার সব বয়সী রোগী।
গত বছর রোগী এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১ শতাংশ রোগী মারা যায়। এর বিপরীতে অন্য রোগে মারা যায় ৮ শতাংশ।
সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে করোনার ছড়ানোর হার যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, মার্কিন হাসপাতালে ভর্তি কভিড রোগীদের মধ্যে গড়ে প্রায় ১.৭ শতাংশ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ৩৮টি হাসপাতালে এ হার ৫ শতাংশ বা এর বেশি ছিল।
অবশ্য এ তথ্যটি গত বছরের, যখন প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের সরবরাহ কম ছিল ও পরীক্ষা খুব কম ছিল বা ফলাফল ধীরে পাওয়া যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে ব্লাক মেডিকেল সেন্টারের মুখপাত্র লিসা কৃর্কল্যান্ড বলেন, রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালকর্মীদের টিকাদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সব হাসপাতালকর্মীকে টিকা নিতে বলেন। কিন্তু ফ্লোরিডাসহ ডজনখানেক রাজ্যে বাধ্যতামূলক টিকাদান নিষিদ্ধ হওয়ায় এ উদ্যোগ বাধার মুখে পড়ে।