অনলাইন ডেস্ক, ৮ নভেম্বর।। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের কমান্ডার ইউরি গর্ডিন বলেছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে প্রতিদিন ইসরায়েল অভিমুখে ২,৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে। তিনি আরও বলেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দুর্বল দিকগুলো সম্পর্কে ভালোভাবেই জানে।
গর্ডিন বলেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত শুরু হলে ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মুখোমুখি হতে হবে এবং ইসরায়েলের অধিবাসীদের সেরকম হামলা মোকাবিলা করার কোনো প্রস্তুতি নেই।
ইসরায়েলের এই জেনারেল কয়েক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, গাজা উপত্যকার সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে তেল আবিব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় আশদুদ শহরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই দুই শহরে এত বেশি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানেনি।
হিজবুল্লাহর সামনে টিকতে না পেরে ইসরায়েল ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এরপর ২০০৬ সালে দীর্ঘ ৩৩ দিনব্যাপী যুদ্ধে আরেকবার হিজবুল্লাহর কাছে পরাজিত হয় তেল আবিব।
হিজবুল্লাহ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলকে ঠেকিয়ে রাখে। অথচ ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে সম্মিলিত আরব বাহিনী ইসরায়েলের কাছে হেরে গিয়েছিল।
ইসরায়েলের একটি পত্রিকা গতকাল খবর দিয়েছে, লেবাননের শিয়া ইসলামি সংগঠন হিজবুল্লাহর হাতে এক লাখের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।
হিব্রু ভাষার ‘ইসরায়েল হাইয়ুম’ নামের পত্রিকাটি বলেছে, পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হলে ইসরায়েলকে বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। ২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে পত্রিকাটি বলেছে, অধিকৃত ভূখণ্ড এখন এক লাখের বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে রয়েছে। এর সঙ্গে গাজা থেকে যুক্ত হবে আরো হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র।