স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৬ নভেম্বর।। আগামী ১২ নভেম্বর, ২০২১ সারা দেশের সাথে রাজ্যেও ৮৯৮ স্কুলে ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সমীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রালয় পরিচালিত এই সমীক্ষা সর্বশেষ সম্পন্ন হয়েছিলো ২০১৭ সালে। আজ সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর অফিস কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, রাজ্যে মোট ৩৮,৭৬০ জন ছাত্রছাত্রী এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। যে শ্রেণীগুলির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সমীক্ষা করা হবে সেগুলি হলো তৃতীয় শ্রেণী, পঞ্চম শ্রেণী, অষ্টম শ্রেণী ও নবম শ্রেণী। এই সমীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে এসসিইআরটি।
তিনি জানান, সমীক্ষার জন্য যে সমস্ত বিদ্যালয়গুলিকে বাছাই করা হয়েছে সেগুলি নির্বাচন করেছে সিবিএসই। শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যে এই সমীক্ষা সফল করে তোলার জন্য এসসিইআরটি-র উদ্যোগে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের আটটি জেলার জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ১,৯৭৯ জনকে ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর নিযুক্ত করা হয়েছে। এসসিইআরটি-র অধিকর্তা রাজ্যের স্টেট নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।
দুজন অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর এবং দুজন জয়েন্ট ডাইরেক্টর আটটি জেলায় তদারকির দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও সমীক্ষার দিন প্রতিটি জেলায় একজন করে ইন্ডিপেনডেন্ট অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে।
তারা সার্বিক ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবেন। তিনি জানান, ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর হিসেবে যাদের নিযুক্ত করা হয়েছে তারা সকলেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ডিআইইটি, সিটিই, আইএএসই-তে পড়ুয়া বিএড ও ডিএলএড পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী।
সমীক্ষা শুরু হবে সকাল সাড়ে দশটায়। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই এসসিইআরটি-র উদ্যোগে দুটি মক টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। যাতে ছাত্রছাত্রীরা ওএমআর শিটের ব্যবহারে দক্ষ হয়।
https://www.facebook.com/ratanlalnathmnp/videos/2131835136955114/
শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যের বর্তমান সরকার ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার পরিমাপের মান যাচাই করার জন্য একটি বেইসলাইন সার্ভে করেছিলো ও নতুন দিশা নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। যাতে সমীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণীর উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যায়।
তিনি জানান, কোভিড অতিমারীজনিত কারণে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিখন ফলাফল কোন পর্যায়ে রয়েছে তা অনুধাবন করার জন্য এই জাতীয় সমীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই সমীক্ষাকে সফল করার জন্য রাজ্যের অভিভাবক, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।