অনলাইন ডেস্ক, ৬ নভেম্বর।। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দ্রুত উত্থান ঘটেছে চীনের। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়ে যেন তরবারি নাচাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটি। তাদের মধ্যে যুদ্ধ হলে পরিণাম হবে অকল্পনীয়।
তবে এমন যুদ্ধের ডামাডোল পরিস্থিতিতে কিছুটা বরফ গলেছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে। গতবছর বন্ধ করে দেওয়া পরস্পরের কনসুলেট খুলতে চলেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০২০ সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে টেক্সাস প্রদেশের হিউস্টনে চীনা কনসুলেট তথা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দেয় ওয়াশিংটন। তারপরই পাল্টা দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চেংদুতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের আদেশ দেয় বেইজিং। ফলস্বরূপ, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে।
এবার সেই ফাটল কিছুটা কমাতে আগ্রহী দুই দেশই। বনধ কনসুলেটগুলি ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিনপিং ও বাইডেন। শীঘ্রই ভারচুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। সেখানে, ভিসা নীতি কিছুটা শিথিল করা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরমাণু অস্ত্র সম্ভারে রাশ টানা নিয়েও আলোচনা হবে।
গতবছর ট্রাম্প আমলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মর্গ্যান অরটাগাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, আমেরিকার ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ এবং গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
তিনি আরও দাবি করেছিলেন, আমেরিকার সর্বভৌমত্বে আঘাত করেছে চীন। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভিয়েনা চুক্তিতেই স্থির হয়েছিল, আমন্ত্রক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানো যাবে না। সেই শর্ত ভঙ্গ করেছে বেইজিং। ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস ছাড়াও, আমেরিকায় আরও পাঁচটি দূতাবাস রয়েছে চীনের। তার মধ্যে হিউস্টনের দূতাবাসটি বন্ধ করা হয়।
আমেরিকাকে পাল্টা জবাব দিয়ে বেইজিং জানায়, চেংদুতে মার্কিন দূতাবাসের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। সেখানে আর কোনওরকম কাজ চালানো যাবে না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিব্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় কূটনৈতিক ও কৌশগলগত দিক থেকে চেংদুর দূতাবাসটি আমেরিকার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রায় ২০০ জন কর্মী ছিলেন।