অনলাইন ডেস্ক, ৬ নভেম্বর।। সবচেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকা ‘মিস আমেরিকা’ খেতাবজয়ী জো-ক্যারল ডেনিসন মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
জো-ক্যারলের বন্ধু ও স্মৃতিকথার সম্পাদক ইভান্স মিলসের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় সিএনএন।
১৮ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে খেতাব জেতেন জো। তবে প্রতিযোগিতার পর মঞ্চে সাঁতারের পোশাক পরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে রীতি ভঙ্গ করেন তিনি।
জো’র মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিস আমেরিকা কর্তৃপক্ষ।
১৯২৩ সালে অ্যারিজোনার ফ্লোরেন্সে জো-ক্যারলের জন্ম। কৈশোরে মা-বাবার ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল শো’র সঙ্গী হন তিনি। সেখানে নাচ-গান ও ঘোড়ার সঙ্গে নানা কলা-কৌশল দেখাতেন।
জো-ক্যারল ডেনিসন ১৯৪২ সালে মিস আমেরিকা খেতাব জেতেন। আত্মজীবনী ‘ফাইন্ডিং মাই লিটল রেড হ্যাট’ বইয়ে জানান, মেডিসিন শো’র পর জনসম্মুখে আর পারফর্ম না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সাঁতারের পোশাকের লোভে ‘মিস টাইলার’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
এরপর একে একে জেতেন ‘মিস ইস্ট টেক্সাস’ ও ‘মিস টেক্সাসের’ টাইটেল।
যদিও সাঁতারের পোশাক বিভাগে প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন, কিন্তু মিস আমেরিকা হিসেবে নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিলেও ওই পোশাক পরতে অস্বীকৃতি জানান। প্রতিযোগিতার শততম আয়োজনে ২০১৮ সালে সাঁতারের পোশাক অংশটি বাদ দেওয়া ও প্রার্থীদের ওপর পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন জো।
তিনি মুকুট জেতার কিছুদিন পরই আমেরিকান সেনারা যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরে। তাদের উদ্দীপনা জোগাতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানান স্থানে ভ্রমণ করেন জো-ক্যারল।
হলিউডের পাশাপাশি টেলিভিশনেও অভিনয় করেছিলেন জো। পরে অবশ্য প্রযোজনাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুইবার বিয়ে করেন, তার রয়েছে দুই ছেলে।
কয়েক বছর আগে হলিউডে ‘#মিটু’ আন্দোলন শুরু হলে সমর্থন জানান জো-ক্যারল ডেনিসন। ওই সময় নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন।