অনলাইন ডেস্ক, ৪ নভেম্বর।। ইরান তার একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে। ইরান বলছে, ওমান সাগরে তাদের একটি তেল ট্যাংকার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-বাহিনী। তবে তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড (আইআরজিসি) এর নৌ-সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্র সহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ব্যার্থ প্রচেষ্টার মধ্যেই এই খবর আসল।
ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ইরানের মেহর বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ডের নৌ শাখার সেনারা ওমান সাগর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তেল আটকের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। পরে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজটি সেখান থেকে সরে যায়। এ ঘটনার ফুটেজ দ্রুতই প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বা বার্তা সংস্থা মেহর কেউই জানায়নি ঘটনাটি কখন ঘটেছে। তবে মেহর জানিয়েছে ঘটনাটি সাম্প্রতিক।
প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নৌ-বাহিনী ওমান সাগরে অপরিশোধিত তেলবোঝাই একটি ইরানি ট্যাংকারটি আটক করে এর তেলের কার্গোগুলো আরেকটি ট্যাঙ্কারে স্থানান্তর করছিল।
তখন ইরানের আইআরজিসির নৌ-সেনারা তাদের ট্যাংকার ও তেলের কার্গোগুলো উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে কার্গোগুলো সহ ট্যাংকারটি উদ্ধার করে ইরানের ভূখণ্ডের দিকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় তারা।
মার্কিন বাহিনী তারপরে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ইরানি ট্যাংকারটিকে ধাওয়া করতে এগিয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতোও মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ইরানের নৌ-সেনারা।
ট্যাংকারটি বর্তমানে ইরানের আঞ্চলিক জলসীমায় ও আইআরজিসির নৌবাহিনীর সুরক্ষায় রয়েছে বলেও প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অধীনে ওয়াশিংটন ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করে আনার বিনিময়ে দেশটির তেল রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল।
কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি বাতিল করেন এবং ফের ইরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করলে যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় চুক্তিতে যোগ দেবে এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তবে বাস্তব কিছু সমস্যার কারণে আলোচনা জুন থেকে স্থগিত রয়েছে।