Bidden: পরিবেশ রক্ষায় কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে কথা বলতে বলতেই ক্ষমা চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক, ২ নভেম্বর।। জমে উঠেছে গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬। প্রথম দিনের বক্তৃতায় পরিবেশ রক্ষায় কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে কথা বলতে বলতেই ক্ষমা চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠকারি সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।

২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয় সম্মেলনে যোগ দেওয়া দেশগুলি।

কার্বন ফুটপ্রিন্ট, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে আচমকাই সেই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়ে দেন, প্যারিস চুক্তি মেনে শিল্পোন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আমেরিকা ওই চুক্তি মানতে বাধ্য নয়।

সোমবার গ্লাসগোর সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় ওই প্রসঙ্গটি তোলেন বাইডেন। বলেন, ‘আমার ক্ষমা চাওয়ার কারণ নেই। তবু আমি ক্ষমা চাইছি। কারণ, আমেরিকার সাবেক প্রশাসন প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল। যা একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিল’।

এখানেই থেমে যাননি বাইডেন। তার বক্তব্য, আমেরিকা ওই চুক্তিতে কেবল ফিরে আসছে না, জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। আমেরিকা সকলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি। জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে সহমত হওয়া ছাড়া কারও হাতে আর কোনো বিকল্প নেই।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিদায়ী জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। এদিনের বক্তৃতায় মের্কেল বলেছেন, ‘২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে আমরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার অধিকাংশই খাতায় কলমে থেকে গেছে। বাস্তবে ঘটেনি। এবার আমাদের পরিকল্পনা রূপায়ন করতে হবে’।

ম্যার্কেলের বক্তব্য, গোটা বিশ্ব এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে। ফলে এই সম্মেলনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। তার কথায়, ‘সম্মেলনের গোড়ায় নিজেদের সমস্যাগুলি স্পষ্ট হয়েছে। সম্মেলনের শেষে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার’।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিকল্প শক্তির উৎপাদনের বিষয়ে নিজেদের তৈরি করে ফেলবে ভারত। আর ২০৭০ সালের মধ্যে ভারত সম্পূর্ণ কার্বন নিঃসরণ মুক্ত দেশে পরিণত হবে। চীন আগেই জানিয়েছিল, ২০৬০ সালের মধ্যে তারা কার্বনমুক্ত দেশে পরিণত হবে। আমেরিকার লক্ষ্য ২০৫০।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?