অনলাইন ডেস্ক, ৩১ অক্টোবর।। থিসিস চুরির অভিযোগ উঠেছে লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জাভিয়ার বেটেলের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা তিনি মেনে নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন নিজের থিসিসের তিন-চতুর্থাংশই অন্যের লেখা থেকে চুরি করেছিলেন তিনি। থিসিস চুরির বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেছেন, তার ভিন্নভাবে কাজ করা উচিত ছিল।
খবর: দা গার্ডিয়ান এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইউনিভার্সিটি অব ন্যান্সি জানিয়েছে, বেটেলের এই কাজে সততার গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে এবং তারা এটি নিয়ে তদন্ত করবে। বেটেলের সেই থিসিসের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি-না, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বেটেলের কাজ আনুষ্ঠানিক কোনো থিসিস ছিল না। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানের অ্যান্টি-প্ল্যাজিয়ারিজম সফটওয়্যারও ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বেটেল জানান, কাজটি মানসম্মতভাবে করা হয়েছে কি-না সেটি নির্ধারণ করা পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে তিনি স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। গত ৮ বছর ধরে লুক্সেমবার্গের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল নেতা জাভিয়ার বেটেল ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি অব ন্যান্সিতে পড়ার সময় ১৯৯৯ সালে তার থিসিসের তিন-চতুর্থাংশই চুরি করেছিলেন।
ইউরোপীয় প্রভাবশালী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির ঘটনা এটিই নতুন নয়। এর আগে, একই ধরনের অভিযোগে প্রতিবেশী জার্মানির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। অতি-সম্প্রতি জার্মানির পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী ফ্রানজিসকা জিফির বিরুদ্ধে লেখা চুরির অভিযোগ উঠেছিল। পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ নকল করার অভিযোগে গত মে মাসে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রিপোর্টারডটএলইউ তার চুরির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে বেটেলের ৫৬ পৃষ্ঠার থিসিসে দুটো বই, চারটি ওয়েবসাইট এবং একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে নেওয়া লেখা যুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর লেখা কেলেঙ্কারির এই ঘটনা ৬ লাখ মানুষের লুক্সেমবার্গের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে।