অনলাইন ডেস্ক, ৩১ অক্টোবর।। লাদাখকে কেন্দ্র করে গত বছরের মে মাস থেকেই কার্যত চীন বনাম ভারত সংঘাত শুরু হয়েছে। গত ২০২০ সালের ৫ মে লাদাখ পরিস্থিতি কার্যত দিল্লির মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর দুই দেশের সংঘাতের মাঝে বহু সেনা মারা যায়। পরবর্তীকালে গত বছর শীতকালের দিকে চীন কার্যত নিজের আগ্রাসী ভাব থেকে কিছুটা পিছু হঠতে থাকে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া। এই অবস্থাতে এই বছর শীতকালের আগে ফের চেনা আগ্রাসনের পরিচয় দেয় চীন।
এই বছর চীনের কিছু সৈন্য উত্তরাখণ্ড সীমান্ত ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের দিক থেকে ভারতে প্রবেশ করে। সেই জায়গা থেকে চীনের গতিবিধি নিয়ে কড়া নজর ধরে রাখে দিল্লি। এবার দিল্লি এই প্রেক্ষাপটে কোন পদক্ষেপ নিতে চলেছে দেখে নেওয়া যাক। ভারতের শক্তি প্রদর্শন চীন নিজের সীমান্ত এলাকা ধরে কীভাবে রণসজ্জা চালাচ্ছে, তা নিয়ে রয়েছে দিল্লির কড়া নজর। কয়েকদিন আগেও চীনের সীমান্ত এলাকা বরাবর একাধিক নির্মাণ কাজ চলতে দেখা গিয়েছে।
যে বিষয়টি খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি ভারত। যে সমস্ত নির্মাণ কাজ চীন নিজের সীমান্তের মধ্যে করছে তা স্ট্র্যাটেজিক বলে মনে করেছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে লালফৌজের গতিবিধি লক্ষ্য করে ভারতও পাল্টা একাধিক রণসজ্জা, সমরাস্ত্রের সাজ সরঞ্জাম সীমান্তে মোতায়েন করেছে। সীমান্তে কোন কোন অস্ত্র? তিব্বত সংলগ্ন সীমান্তে ভারত, চিনুক হেলিকপ্টার, আলট্রা লাইট হাউউৎজার, রাইফেল মোতায়েন করেছে। এছাড়াও ঘরোয়া উৎপাদন ক্ষেত্রে তৈরি সুপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল, নতুন যুগের নজরদারি ব্যবস্থার বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সামগ্রী মোতায়েন করেছে।
পূর্ব তিব্বতের বিভিন্ন অংশে চীন সীমান্ত ঘিরে এমন নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র মোতায়েন করেছে ভারত। ভারতীয় সেনার ফোর্সকে আরও বেশি পোক্ত করতে এমন একাধিক প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সহযোগী মার্কিন শক্তি! এদিকে, ভারতের ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে লড়াইতে কার্যত মার্কিন সমরাস্ত্র শক্তি বড়সড়ভাবে ময়দানে নামছে। একদিকে যেমন কর্পস কমান্ডার স্তরে সেনার মধ্যে দুই পক্ষের বৈঠক চলছে, তেমনই আবার চীন পাঁচ কদম পিছিয়ে আবার সাত কদম এগিয়ে যাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রেখেছে ভারত।
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, চীনের সঙ্গে সংঘাতের দ্বিতীয় স্তরে গিয়ে আরও এক শীতকালের মুখে মার্কিন নির্মিত অস্ত্র ভারতকে বেশ সহায়তা করছে। একদিকে যেমন ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নির্মাণ কাজ করছে, অন্যদিকে, ধারালো অস্ত্রের মুখে তারা চীনকে কার্যত নজরে রেখেছে। নতুন সেনা বাহিনী জানা গিয়েছে, নতুন করে সেনা বাহিনী চীন সীমন্তে মোতায়েন করেছে ভারত।
ফলে আপাতত চীন লাগোয়া লাদাখ সীমান্তে ভারতের অন্তত ৩০ হাজার সেনা জওয়ান অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছেন। এছাড়াও ইসরায়েলের বিশেষ নির্মিত ড্রোনের হাত ধরে রীতিমতো শক্তিশালী হয়েছে ভারত। ফলে নজরদারীর ক্ষমতাও আগের থেকে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।