অনলাইন ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর।। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন জনগণকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কম খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । দেশটিতে ভয়াবহ খাদ্য সংকট শুরু হওয়ায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য সংকটের কথা উল্লেখ করে কিম জং উন বলেছেন, বর্তমানে জনগণের খাবার জোগাড় নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমাদের কৃষি সেক্টর জনগণের জন্য যেটুকু খাদ্য প্রয়োজন তা উৎপাদন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এ বছরের জুনে কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কিম জং উন নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে যে, করোনার কারণে ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পর খাদ্য সংকট বৃদ্ধি পায়। সীমান্ত বন্ধ হওয়ার কারণে উত্তর কোরিয়ার আমদানি-রফতানি চালু ছিল তাও বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়া গ্রীষ্মকালে টাইফুন এবং বন্যায় ফসল উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হয়। ফলে খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ায় কিছু সূত্রের বরাতে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, উত্তর কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা কিমের নির্দেশ পাওয়ার পর তা কার্যকর করতে শুরু করেছেন।
রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, উত্তর কোরিয়া ২০২৫ সালের আগে চীন থেকে খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে সীমান্ত খুলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সেই চেষ্টা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানায়, উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকট এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে, প্রতি বছর দেশটিতে ১০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।