স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ২৮ অক্টোবর।।
চারদিন পরও নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার করতে ব্যর্থ পুলিশ৷ কাজের কাজ কিছুই হয়নি ডগ স্কোয়াড নামিয়েও৷ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ নিখোঁজ যুবকের আত্মীয়-পরিজনদের৷
নিখোঁজ যুবকের নাম নুটন দাস৷ বাড়ি বিশালগড় থানাধীন দুর্গানগর শিবনগর এলাকায়৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে আটটা ন াগাদ একজন ফোন করে নুটনকে কলমচৌড়া থানাধীন লাড়ুবাড়ি চৌমুহনি যাওয়ার জন্য বলে৷
নুটন প্রথমে যাওয়ার জন্য অসম্মতি জানালেও পরে বাড়ির লোকদের বাড়িতে আসতে দেরি হবে বলে জানিয়ে তার বাইকে করে লাড়ুবাড়ি চৌমুহনি যাওয়ার জন্য বের হয়ে যায়৷ কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও নুটন বাড়িতে ফিরেনি৷ পরে তার সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ খবর নেয় বাড়ির লোকজন৷ এরপরেও কোন হদিস মেলেনি নুটনের৷ তার ফোনও সুইচড্ অফ৷
এরপর মঙ্গলবার রাতে বিশালগড় থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়ে যায় নুটনের পরিবার৷ বুধবার বিশালগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবারের পক্ষ থেকে৷ অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের কোন হদিস বের করতে পারেনি পুলিশ৷
বক্সনগর তেব্রাবাড়িস্থিত বনদপ্তরের জঙ্গল থেকে নিখোঁজ যুবক নুটন দাসের রক্তমাখা বাইকটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা৷ যদিও বাইকের নম্বর প্লেটগুলো ভাঙা৷ বাইকের একাধিক স্থানে রয়েছে রক্তের দাগ এবং বাইকের মধ্যে রয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ণ৷
যেখান থেকে নিখোঁজ যুবকের বাইকটি উদ্ধার হয়েছে সেই স্থানে বৃহস্পতিবার ডগ স্কোয়াড নিয়ে হাজির হন বিশালগড় থানার ওসি দেবাশিস সাহা এবং কলমচৌড়া থানার ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিক৷ দীর্ঘক্ষণ যাবৎ ডগ স্কোয়াড নিয়ে বক্সনগর তেব্রাবাড়িস্থিত বনদপ্তরের জঙ্গলে তল্লাশি চালায় পুলিশ৷
এরপরেও নিখোঁজ যুবক নুটন দাসের কোন হদিস বের করতে পারেনি পুলিশ৷ যা নিজের মুখেই স্বীকার করলেন বিশালগড় থানার ওসি৷
এদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন নিখোঁজ যুবক নুটন দাসের পরিবারের লোকেরা৷ সময় যত গড়াচ্ছে গোটা ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে৷ আদৌ নিখোঁজ যুবক নুটন জীবিত রয়েছে কিনা?
ঘটনার চারদিন অতিক্রান্ত৷ রীতিমতো পুলিশের ভূমিকা প্রশ্ণচিহ্ণের মুখে৷ এখন দেখার পুলিশ নিখোঁজ যুবককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারে কিনা।
