অনলাইন ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর।। জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে শুক্রবার রোম পৌঁছালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে দেখা করবেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, গ্লাসগোতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে যোগ দেবেন বাইডেন। এর আগে শুক্রবার সকালে ইতালি পৌঁছান তিনি।
ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের সঙ্গে দেখা করবেন এ ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি বৈঠক করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। রবিবার তার স্কটল্যান্ড পৌঁছানোর কথা। এবারের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বিশ্বের গণতন্ত্র নিয়েও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা বাইডেনের।
জো বাইডেন হলেন আমেরিকার দ্বিতীয় ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। তিনি ধর্মভীরু হিসেবেও পরিচিত। ফলে ভ্যাটিকান থেকে তার সফর শুরু করার অন্যরকম গুরুত্ব আছে।
পোপ ছাড়াও শুক্র-শনিবারের মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করার কথা বাইডেনের। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হওয়ার কথা।
অস্ট্রেলিয়াকে সাবমেরিন বিক্রি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের সঙ্গে সাবমেরিন বিক্রির ডিল চূড়ান্ত করার পর অস্ট্রেলিয়া তা ভেস্তে দিয়ে আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হাত মেলায়। যা নিয়ে বিপুল চটেছিলেন মাক্রোঁ। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া ভাষায় সমালোচনাও করা হয়েছিল। তারপর এই প্রথম বাইডেন-মাক্রোঁ আলোচনা হওয়ার কথা।
এ দিকে রবিবার গ্লাসগো পৌঁছানোর কথা বাইডেনের। সেখানে জলবায়ু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানানোর জন্য একটি বড় টিম থাকবে। জলবায়ু সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্য দেশগুলোকে বাইডেন চাপ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই শতাব্দীতে উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রির নিচে আনা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে।
পাশাপাশি গণতন্ত্র নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রাখতে পারেন বাইডেন। হোয়াইট হাউস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বাইডেন মনে করেন গোটা বিশ্বে গণতন্ত্র বিপদের মুখে এসে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গণতান্ত্রিক সরকার ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন গণতন্ত্র রক্ষা করা প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
জলবায়ু বৈঠকের মধ্যেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বাইডেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে।
এই বৈঠকটির দিকেও তাকিয়ে আছে কূটনীতিকরা। কারণ, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক বিষয়ে বিতর্ক চলছে তুরস্কের।