অনলাইন ডেস্ক, ২৪ অক্টোবর।। দীর্ঘ দাম্পত্য। কিন্তু ছিল না সন্তান। এই অনুভূতি কাঁটার মতো লেগেছিল দম্পতির মনে।তা থেকে মুক্তি পেতে তারা এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন।তান্ত্রিক বলেন, এর থেকে মুক্তির উপায় নরবলি। এই তান্ত্রিকের কারণেই খুন হতে হল দুই যৌনকর্মীকে। অবশেষে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তদের। ধৃতদের জেরা করে আসল ঘটনা জানতে পেরেছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার।
জানা গিয়েছে, গত ২১ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেই মৃতদেহটি ছিল এক যৌনকর্মীর। পুলিশ তদন্তে নেমে নীরজ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করা হলে সে অপরাধ কবুল করে।নীরজ জানায় সেই ওই যৌনকর্মীকে খুন করেছেন। তখনই সামনে আসে আসল ঘটনা।
জানা যায়, নীরজের বন্ধু বান্টু ভাদুরিয়া ও তাঁর স্ত্রী মমতা দীর্ঘদিন ধরে সন্তান চাইছিলেন। ১৮ বছরের দাম্পত্যের পরেও সন্তান না হওয়ায় তাঁরা কার্যত মরিয়া হয়ে ওঠেন। এই সময় নীরজই তাঁদের নিয়ে যান পরিচিত এক তান্ত্রিকের কাছে। ওই তান্ত্রিক জানান, যদি তাঁরা নরবলি দিতে পারেন, তাহলে সন্তান আসবে তাঁদের কোলে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বন্ধুর ‘উপকার’ করতে এসেছিল নীরজ । সে গিয়েছিল এক যৌনকর্মীর কাছে। যৌন কর্মীকে দেওয়া হয়েছিল ১০ হাজার টাকা । পরে ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে সে যৌনতাও করে। যৌন মিলনের পরেই সে ওই যৌনকর্মীকে গলা টিপে খুন করে ।
এরপর মৃতদেহটি বাইকে চাপিয়ে রওনা দেয় তান্ত্রিকের বাড়ির দিকে। সেখানে পৌঁছনোর আগেই উলটে যায় তার বাইক। এরপরই ভয় পেয়ে নীরজ মৃতদেহটি সেখানে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় । পুলিশ পরে সেই দেহ উদ্ধার করে ।
জেরার মুখে ভেঙে পরে নীরজ। সে স্বীকার করে ,এর আগেও আরেকটি খুন করেছে। গত ১৪ অক্টোবর এক যৌনকর্মীকে খুন করেছিল সে। কিন্তু তাকে বলা হয় যেহেতু ওই যৌনকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিল তাই সেই দেহটি ‘বলি’ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
গোটা ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ।এই ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে পাকড়াও করেছে। এই পাঁচজন হল, বান্টু ভাদোরিয়া(৪০), স্ত্রী মমতা ভাদোরিয়া(৩৬), বোন মিরা রাজওয়াত (৪৫) মীরার লিভ ইন পার্টনার নিজ পামার (৩৫) এবং তান্ত্রিক গিরবর যাদব (৬২)।