অনলাইন ডেস্ক, ২২ অক্টোবর।। জাপানের সম্রাটের ভাতিজি প্রিন্সেস মাকো সাধারণ পরিবার থেকে আসা তার প্রেমিককে বিয়ে করতে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পরও লম্বা লড়াই চালিয়ে গেছেন। সেই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর অবশেষে আগামী সপ্তাহে তাদের বিয়ে হবে।
গত তিন বছর ধরে তাদের বিয়ে স্থগিত ছিল। যে কারণে তিনি মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) ধরা পড়েছিল।
কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে জীবন সঙ্গীনি হিসেবে পেতে হাল ছাড়েননি এই হৃদয়বান রাজকুমারী। তিন বছর ধরে লম্বা লড়াই চালিয়ে অবশেষে সফল হয়েছেন তিনি।
আগামী ২৩ অক্টোবর ৩০ বছর বয়স পূর্ণ হবে রাজকুমারী মাকোর। তার প্রেমিক কোমুরোর বয়সও ৩০। কোমুরোকে বিয়ে করার পর মাকো তার রাজকীয় মর্যাদা হারাবেন। দুজনই বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে চলেছেন, যেখানে প্রেমিক কোমুরো একটি আইন সংস্থায় চাকরি করেন।
২০১২ সালে টোকিওর আন্তর্জাতিক খ্রিস্টান বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রথম দেখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজকুমারী মাকো শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজপ্রাসাদ থেকে তাদের বাগদানের ঘোষণা করা হয়। দুজন পরে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, যেখানে তাদের একে অপরের প্রতি হাসি জনসাধারণকে বিমোহিত করে। তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে।
কিন্তু ২০১৭ সালের ডিসেম্বর কয়েকটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে রিপোর্ট করা হয় যে, কোমুরোর মা এবং তার প্রাক্তন বাগদত্তার মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
কোমুরোর মায়ের বাগদত্তা দাবি করেন যে, মা এবং ছেলে তার প্রায় ৩৫ হাজার ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কোমুরো অবশ্য দাবি করেন যে, ওই টাকাটি একটি উপহার ছিল, ঋণ নয়।
ওই খবরের পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিয়ে স্থগিত করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয় যে, প্রেমিক যুগলের তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে এবং বিবাহিত জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে আরও সময় প্রয়োজন।