অনলাইন ডেস্ক, ২০ অক্টোবর।। দুই বছর ধরে চালানো এক তদন্তে বিখ্যাত ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রীদের ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগ কার্যকরভাবে মোকাবেলা করছে না বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে অপরাধীদের শাস্তি না দিয়ে শুধু তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং অনেকের বিরুদ্ধে এমনকি কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয় না।
আল জাজিরার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট (আই-ইউনিট) এর চালানো ওই তদন্তে দুইজন অধ্যাপককে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা বলেছেন যে তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌন নিপীড়ন এবং মাতাল আচরণ করেছেন।
এ তদন্তে আরও ফাঁস হয় যে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদেরকে শিক্ষকদের যৌন হয়রানি থেকে রক্ষা করতে পারে না।
এই বছর ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে অর্জন করা অক্সফোর্ডে অ্যান্ডি অর্চার্ড নামে একজন অধ্যাপক আছেন যিনি অ্যাংলো স্যাক্সন পড়ান। তার পূর্বসূরিদের মধ্যে একজন ছিলেন জে আর আর টলকিয়েন, যিনি হবিট এবং লর্ড অফ দ্য রিংস লেখার সময় একই পদে ছিলেন।
অর্চার্ডের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল অক্সফোর্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবং সেখানেই ১৯৯০-র দশকে দুই নারী তাঁর নিপীড়নের শিকার হন। ওই দুই নারীও এখন অত্যন্ত সম্মানিত শিক্ষাবিদ।
তাদেরই একজন বর্তমানে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ফাইন আর্টের প্রধান অধ্যাপক ক্যাথরিন কার্কভ বলেন, ‘তার একাডেমিক খ্যাতি ছিল অনেক উচ্চ, তার ব্যক্তিগত খ্যাতি ছিল মদ্যপ এবং যৌন শিকারী। তিনি তার অফিসের পরিবর্তে মদের পাবে সভা করতেন, তাই তিনি মিটিংয়ের সময় অনেকবার মাতাল হয়ে পড়েছিলেন’।