অনলাইন ডেস্ক, ১৯ অক্টোবর।। আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন দূত জালমে খালিলজাদ ইস্তফা দিচ্ছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় থেকে তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। এই সপ্তাহেই দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন খালিলজাদ। তিন বছর ধরে তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। ট্রাম্পের পর বাইডেন প্রশাসনেও তিনি এই দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।
এবার এই দায়িত্ব পালন করবেন টমাস ওয়েস্ট। এতদিন খালিলজাদের ডেপুটি ছিলেন টমাস। টমাস কাতারের দোহায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের প্রধান হিসেবে যোগ দেবেন। কাবুলের মার্কিন দূতাবাস দোহায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
খালিলজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ট্রাম্পের আমলে তালেবানদের উপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। তবে ব্লিংকেন তার কাজের জন্য খালিলজাদকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খলিলজাদ কয়েক দশক ধরে আমেরিকার মানুষের সেবা করেছেন।
কিছুদিন আগে দোহায় তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন মার্কিন কূটনীতিকরা। সেখানে খালিলজাদকে রাখা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনিই ছিলেন আফগানিস্তানের বিষয়ে আমেরিকার প্রধান কূটনীতিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স নাম জানিয়েছে, খালিলজাদ গত শুক্রবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
আফগানিস্তানে জন্মগ্রহণকারী খালিলজাদ ২০১৮ সাল থেকে এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার ফলে এই বছর মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য ফেব্রুয়ারি ২০২০ চুক্তি হয়েছিল।
রিপাবলিকান দল এবং ট্রাম্পের সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও খালিলজাদকে স্বপদে বহাল রেখেছিলেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
বর্তমান ও প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে এর আগে বলেছিলেন যে, খালিলজাদ তার তিন বছরের দায়িত্ব পালনকালে সাম্প্রতিক স্মৃতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন কূটনৈতিক ব্যর্থতার মুখ হয়ে উঠেছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলা মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, প্রবীণ এই আমেরিকান কূটনীতিক তালেবানকে পরিস্থিতির অনেক সুবিধা নিতে দিয়েছেন, ক্রমাগত আফগান সরকারকে দুর্বল করেছেন এবং মার্কিন সরকারের মধ্যে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি শোনার ব্যাপারে তার তেমন আগ্রহও ছিলনা।
সম্প্রতি ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলার সময় খালিলজাদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন যে, তালেবানরা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির চুক্তির মূল অংশগুলো পালন করেছে, যার মধ্যে ফিরে আসার সময় মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা না করার বিষয়টিও ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের সম্মান করি যারা বলে যে আফগান সরকারকে ছাড়া তালেবানদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা করা উচিত ছিল না। কিন্তু আমরা জানি না তালেবানদের তাতে রাজি করাতে আরও কত লড়াই করতে হত’।
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার দীর্ঘতম যুদ্ধে আরেকটি সৈন্য বাড়ানোর ক্ষুধা না থাকায়, ‘প্রতি বছর আমরা তালেবানদের কাছে মাঠ হারাচ্ছিলাম, বলেন খালিলজাদ।