গরিব অংশের মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে : উপমুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ১৮ অক্টোবর।।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ প্রকৃত সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। গরিব অংশের মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে পারলে তাদের যেমন আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে তেমনি রাজ্যেরও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। আজ সিপাহীজলা জেলার জেলা প্রশাসনের নতুন প্রশাসনিক ভবন ও এস পি অফিসের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন।

দুটি সরকারি ভবনের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, বিশ্রামগঞ্জ জেলা প্রশাসনিক ভবনের কাজ শুরু হওয়ার পর এই জেলার উন্নয়নের কাজে গতি এসেছে। রাজ্য সরকার প্রশাসনিক কাজকে বিকেন্দ্রীকরণ করার মাধ্যমে প্রশাসনকে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে।

তিনি বলেন, সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ চাওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর সম্প্রসারণে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যে আরও ।

বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন চালু করা হবে। ইতিমধ্যেই ১৫টি সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ৩১টি তিনি বলেন, রাজো দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বিদ্যুৎ পরিকাঠামো সম্প্রসারণে বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে ১৩৫ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গরিব অংশের মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে গত সাড়ে তিন বছরে ৪২ হাজার ১৪৪টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ঘর গরিব গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, করোনা অতিমারীর প্রভাবে আমাদের রাজ্যেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। অনেকেরই কাজের সমস্যা হয়েছে। রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হবে।

এজন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ন করছে। পি এম কুসুম প্রকল্পের মাধ্যমে জলসেচের ব্যবস্থা করতে ভর্তুকী দেওয়া হচ্ছে। এফ সি আই’র মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কৃষি, মৎসাচাষ, বনায়ন, উদ্যান পালন, প্রাণী সম্পদ বিকাশের মাধ্যমে রাজ্যের গরিব অংশের মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের ফলে এই জেলার প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।

তাদের কাছে আরও ভালভাবে প্রশাসনিক সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পানীয়জল, স্বাস্থা পরিষেবা, বিদ্যুৎ পরিষেবা, শিক্ষা পরিকাঠামোর সম্প্রসারণের মাধ্যমে এই জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কাজ চলছে। মানুষের আশা আকাঙ্খা, চাহিদা পূরণে তিনি সরকারি কর্মচারিদের আরও আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, এই মাসে ১১ অক্টোবর থেকে এই জেলায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস নত্ত।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজস্ব দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্ম, বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি. আই জি অরিন্দম নাম, পুলিশ সুপার, এস ডি এম এবং বিডিওগণ।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?