অনলাইন ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর।। রাশিয়ার মহাকাশযান ‘সয়ুজ এমএস-১৯’ এর ধাক্কায় থরথর করে কেঁপে উঠেছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। রুশ মহাকাশযানের ধাক্কায় নিজের কক্ষপথ থেকে মহাকাশ স্টেশন ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরে যেতেও বাধ্য হয়েছে।
রুশ মহাকাশযানে ছিলেন মহাকাশে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং করতে যাওয়া রুশ অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসিল্ড, পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো ও মহাকাশচারী অভিনেতা ওলেগ নোভিতস্কি। তবে অল্পের জন্য তাঁরা বড় দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশ সময়ে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ। চলচ্চিত্রের শুটিং হয়ে যাওয়ার পর অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালককে নিয়ে মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে ওই সময় পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিতে তৈরি হচ্ছিল রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-১৯। রবিবার সকালেই পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা রয়েছে ওই রুশ মহাকাশযানের। রুশ মহাকাশযানটি থেমেছিল মহাকাশ স্টেশনে রাশিয়ার যে গবেষণাগারটি রয়েছে, সেই ‘নাওকা মডিউল’-এ।
পৃথিবীতে ফিরে আসার লক্ষ্যে রুশ মহাকাশযানটির থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলি পরীক্ষা করে দেখছিলেন রুশ মাহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা। থ্রাস্টার ইঞ্জিন চালু করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বন্ধ করা যায়নি মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলি। তাদের সজোর ধাক্কায় থরথরিয়ে কেঁপে ওঠে পুরো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সেই ধাক্কা মহাকাশ স্টেশনকে নিজের কক্ষপথ থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরিয়েও দেয়।
তার পর ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় রুশ মহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা বন্ধ করতে সক্ষম হন মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলি। তাতে মহাকাশ স্টেশনের দুলুনিও বন্ধ হয়।
গত জুলাইয়ে আর একটি রুশ মহাকাশযানের অবতরণের সময় এমন ভাবেই থরথরিয়ে কেঁপে উঠেছিল মহাকাশ স্টেশন। তার পর মহাকাশ স্টেশনের রুশ অংশে আগুন লেগে ধোঁয়া বেরিয়ে আসার ঘটনাও ঘটে গত সেপ্টেম্বরে।
গত ৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার কাজাখস্তানের বাইকনুর নভোযান উড্ডয়ন কেন্দ্র থেকে ইউলিয়া পেরেসিল্ড এবং ক্লিম শিপেঙ্কোকে নিয়ে রওনা দেয় রাশিয়ার সয়ুজ এমএস-১৯ মহাকাশযান। মস্কোর সময় বুধবার ৩টা ১২ মিনিটে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে যায়।