অনলাইন ডেস্ক, ১৫ অক্টোবর।। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কাছের একটি মোটেলের সব কক্ষে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে ভিডিও করে শত শত অতিথির কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দেশটির পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার-ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তা সিও সাং-হিয়োক বলেন, সন্দেহভাজনরা কয়েক মাস ধরে ভিডিও ধারণ করে তারপর হুমকি দিয়ে কিছু অতিথিকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের চাঁদাবাজির চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী সিউলের কাছে ইয়াংপিয়ংয়ের মোটেলটিতে সন্দেহভাজনরা গোপন ক্যামেরাগুলো কীভাবে লাগিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
স্থানীয় একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে যে, সন্দেহভাজনরা মোটেলের কিছু কর্মচারীকে ঘরের প্রতিটি কম্পিউটারের মনিটরে ছোট ছোট ক্যামেরা বসানোর জন্য ঘুষ দিয়েছিল।
কম্পিউটারগুলো পরিষ্কার করার সময় সেগুলোতে গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছ থেকে মামলা গ্রহণকারী রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা সন্দেহভাজনদের কাউকে অভিযুক্ত করেছেন কিনা সে বিষয়ে শুক্রবার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
দক্ষিণ কোরিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন অপরাধীদের মোকাবিলায় লড়াই করছে। এই অপরাধীরা মোটেলের বেড রুম, বাথরুম এবং অন্যান্য স্থানে ছোটখাটো গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে যৌন চিত্র বা নগ্নতার ছবি ও ভিডিও ধারণ করত এবং অবৈধ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করত।
২০১৮ সালে হাজার হাজার নারী সিউলে মিছিল করেছিলেন লুকানো ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা তাদের ছবি ও ভিডিওগুলোর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর জন্য শক্তিশালী সরকারি পদক্ষেপের দাবিতে। তারা বলেছিলেন যে, নারীরা ক্রমাগত উদ্বেগ এবং দুর্দশায় বসবাস করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুলিশ সংস্থা সম্প্রতি জাস্টিস পার্টির আইনপ্রণেতা জ্যাং হাই-ইয়ংকে বলেছে যে, পুলিশ গত পাঁচ বছরে গোপন ক্যামেরা সম্পর্কিত অপরাধের প্রায় ৩০ হাজার মামলা তদন্ত করেছে।