অনলাইন ডেস্ক, ৫ অক্টোবর।। দক্ষিণ চীন সাগরের বোর্নিও দ্বীপের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইইজেড) চীনা জলযানের ‘উপস্থিতি ও কার্যকলাপের’ প্রতিবাদ জানাতে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সোমবার রাতে দেওয়ার বিবৃতির উল্লেখ করে আল জাজিরা জানায়, চীনা জলযানের মধ্যে সার্ভে বোটও ছিল। এগুলো ১৯৮২ সালের জাতিসংঘ সমুদ্র আইন লঙ্ঘন করে মালয়েশিয়ার সাবাহ ও সারাওয়াক প্রদেশের উপকূলে প্রবেশ করে।তবে জাহাজের সংখ্যা বা ঘটনাটি কখন ঘটেছে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় নিজেদের জলসীমায় সার্বভৌমত্ব ও সাব ভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করেই মালয়েশিয়ার ধারাবাহিক অবস্থান ও তৎপরতা।
নিজেদের জলসীমায় অন্যদের জাহাজ প্রবেশ নিয়ে আগেও প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের অংশ আছে বলে দাবি করে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম ও ব্রুনাই। কিন্তু ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক আদালত ভিত্তিহীন বললেও তথাকথিত নাইন-ড্যাশ লাইনের অধীনে প্রায় পুরো জলসীমাকে নিজেদের দাবি করে চীন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিরোধপূর্ণ জলসীমায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি, সামরিক ফাঁড়ি স্থাপনসহ নানা ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। গত বছর তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে মালয়েশিয়ার জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে বাধা দেয় চীন, সার্ভে বোট পাঠায় তারা। এ নিয়ে মাসব্যাপী অচলাবস্থা তৈরি হয়।
এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ জানায়, বিরোধপূর্ণ জলসীমায় ২৭টি ফাঁড়ি বানিয়েছে চীন। ২০১২ সালে ফিলিপাইন থেকে দখল করা স্কারবোরো শোলকে নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটি।