স্টাফ রিপোর্টার, কল্যাণপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর।। কল্যাণপুর থানা এলাকায় নিত্য চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ চুরিকাণ্ডের ঘটনা বন্ধ করতে পুলিশের উপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ৷ নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা করতে তিতিবিরক্ত অনেক এলাকায় সাধারণ মানুষই চোর ধরতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর৷
কল্যাণপুর থানা এলাকায় গত চার মাস পূর্বে গরু চোর সন্দেহে চার যুবককে পিটিয়ে মারে ক্ষুব্ধ জনতা৷ প্রায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে গোটা কল্যাণপুর থানা এলাকায়৷ মঙ্গলবার রাতে আবারো চুরির ঘটনা ঘটলো কল্যাণপুর নয়া মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ণ লোকনাথ আশ্রমে৷ সকালে আশ্রম কর্তৃপক্ষ প্রত্যক্ষ করে মন্দিরের রান্নাঘরের টিন কাটা অবস্থায় পড়ে আছে৷
এগিয়ে আসতেই দেখা গেছে ঘরের লন্ডভন্ড অবস্থা এবং চোরের দল নানা মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে৷ খবর দেওয়া হয় থানায়৷ কল্যাণপুর থানার পুলিশ সাত সকালেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷ লোক দেখানো পুলিশি অবস্থান পরিশেষে অশ্বডিম্ব প্রসব, ইতিপূর্বে অন্য ঘটনাগুলির মতই পুলিশ তদন্ত করবে বলে স্থান ত্যাগ করে৷
কিন্তু ঘটনার কতটুকু কিনারা করতে পারবে পুলিশ তা সহজেই অনুমেয়৷ লোকনাথ আশ্রমের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মালাকার জানান, অন্যান্য দিনের মতো তিনি ভোরবেলা আশ্রমে এসে দেখেন ঘরের টিন কাটা৷ নিশিকুটুম্বের দল যে মাইক দিয়ে সকালে মঙ্গলকীর্তন বাজানো হয় সেই মাইক সেটটি চুরি করে নিয়ে গেছে৷
ভোগ রান্নার গ্যাসের চুলা, অন্যান্য আসবাবপত্র উধাও৷ এমনকি যে বড় থালা দিয়ে ভোগ দেওয়া হতো সেটিও নিয়ে গেছে চোরের দল৷ তিনি জানান এই নিয়ে তিনবার গত কয়েকমাসে চুরির ঘটনা ঘটলো৷ অথচ কোন ঘটনাই পুলিশ চোর সনাক্ত কিংবা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি৷
গতকালের ঘটনায় সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, কোন মেশিন জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শক্ত ঢেউটিন কেটে নেয় চোরচক্র৷ ইতিপূর্বে কল্যাণপুরের একমাত্র বিলাতি মদের দোকানেও এই একই ভাবে টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটে৷ মদের দোকানের সি সি ক্যামেরাতে সেই চুরির ঘটনা ধরা পড়লেও চোর ধরতে পুলিশকে তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ৷
আজকের চুরির ঘটনার পর সাধারণ জনগণ দাবি তুলছেন দিন দুপুরে সোনার গয়না চুরি থেকে শুরু করে বাড়ি ঘর, মন্দির, দোকান কিছুই চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছেনা মানুষ৷ সাধারণ মানুষের দাবি অবিলম্বে পুলিশকে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।