অনলাইন ডেস্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর।। শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুত পথ পাড়ি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র। মাসখানেক আগে রাশিয়া একই ধরনের হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছিল। এবার নিজেদের তথ্য সামনে আনলো ওয়াশিংটন।
মাক পাঁচ নামে পরিচিতি এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর এক বিবৃতিতে সোমবার জানায় পেন্টাগন। তারা জানায়, দিনকয়েক আগে নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই মিসাইলের প্রজেক্টের নাম ‘হাইপারসনিক এয়ার-ব্রিদিং ওয়েপন কনসেপ্ট’। সামরিক অস্ত্র তৈরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা রেথিওন টেকনোলজিস অ্যান্ড নরথপ গ্রুম্যান এই সমরাস্ত্রটি তৈরি করেছে। সফল পরীক্ষার পর মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে এর প্রযুক্তিগত তথ্য দেওয়া হবে। সামরিক বাহিনী এরপর ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরির দায়িত্ব দেবে সরকারি সংস্থাকে।
প্রস্তুতকারক সংস্থাটি জানিয়েছে, মিনিটে ৬০ মাইল বা ১০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে মিসাইলটি। সেকেন্ডে এক মাইল, যা শব্দের গতিবেগ থেকে যা পাঁচ গুণ বেশি।
পরীক্ষার সময় একটি যুদ্ধবিমানের উইং থেকে মিসাইলটি নিক্ষেপ করা হয়। এর এক সেকেন্ডের মধ্যে একটি রকেট বুস্টারের মাধ্যমে মিসাইলটির গতিবেগ অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর ফলে মাক ওয়ান গতি পায় মিসাইলটি। এর এক সেকেন্ডের মধ্যে মিসাইলটির মধ্যে লাগানো আরেকটি ইঞ্জিন চালু করে দেওয়া হয়। যা গতিবেগ শব্দের পাঁচ গুণে পৌঁছে দেয় মিসাইলের গতিবেগ।
কিছুদিন আগেই রাশিয়া হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছিল। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, জাহাজ থেকে ওই মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, মিসাইলের গতিবেগ এতটাই যে, তা চোখে দেখা যায় না। ওই মিসাইলের মাধ্যমে রাশিয়া অতি আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সম্ভার তৈরি করতে শুরু করল বলে জানিয়েছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট। তারপরই যুক্তরাষ্ট্রের এই পরীক্ষা কূটনৈতিক উত্তর বলে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানি করা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গত পাঁচ বছরে বিক্রি হওয়ায় অস্ত্রের ৩৩ শতাংশ সরবরাহ করেছে সেদেশ। গত কয়েক বছরে দেশটির অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্ক এ সব অস্ত্রের মূল ক্রেতা।