অনলাইন ডেস্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর।। ট্রাক চালকের ঘাটতির কারণে কয়েকদিন ধরে নজিরবিহীন সংকটে পড়েছে ব্রিটেন। সরবরাহ না থাকায় বড় বড় শহরের বেশিরভাগ পেট্রোল স্টেশন বন্ধ রয়েছে। সেগুলো কবে চালু হবে তাও কেউ জানে না। খবর বিবিসি।
ব্রিটেনে পণ্য বহনকারী ভারী ট্রাক চালকের অভাব চলছে অনেকদিন ধরেই। ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপের অনেক চালক এখান থেকে চলে গেছেন। এরপর কভিড মহামারির কারণে এই সংকট আরও তীব্র হয়। ওই সময় চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ ছিল।
বলা হচ্ছে, এই মুহূর্তে ব্রিটেনে প্রায় এক লাখ ট্রাক ড্রাইভারের ঘাটতি আছে। জ্বালানি ছাড়াও এর প্রভাব পড়েছে সব ক্ষেত্রেই।
কোন কোন সুপারমার্কেট আশংকা করছে, সময়মতো পণ্যের সরবরাহ না আসলে তাদের তাকগুলোও শিগগিরই খালি হয়ে যাবে।
সংকট এতটাই গুরুতর রূপ নিয়েছে যে, সরকার এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী তলব করার কথা ভাবছে।
সাম্প্রতিককালে অভূতপূর্ব এ ঘটনায় দেখা গেছে, পেট্রোল স্টেশনগুলোর সামনে শত শত গাড়ির দীর্ঘ লাইন।
গাড়িতে তেল ভরার জন্য অনেককে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নতুন জ্বালানির সরবরাহ না আসায় বহু পেট্রোল স্টেশন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। গাড়িতে যথেষ্ট তেল না থাকায় অনেকে তাদের কর্মস্থলে বা জরুরি কাজে পর্যন্ত যেতে পারছেন না।
সরকার বলছে, ব্রিটেনে জ্বালানি তেলের কোন ঘাটতি নেই, যথেষ্ট তেল মজুত আছে। তবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ সময়মতো পেট্রোল স্টেশনে পৌঁছানোর ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে। সরকারের মন্ত্রীরা বার বার আবেদন জানাচ্ছেন, লোকজন যেন আতংকিত হয়ে গাড়ির ট্যাংক ভর্তি করে জ্বালানি কেনার জন্য ভিড় না করে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি।
বড় তেল কোম্পানি শেল ট্রাক চালকের অভাবে তাদের কিছু পেট্রোল স্টেশন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কয়েকদিন আগে। এমন খবর ছড়ানোর পর রীতিমত আতংক ছড়িয়ে পড়ে। গাড়ি নিয়ে পেট্রোল স্টেশনের দিকে ছুটতে শুরু করে মানুষ। কিন্তু খুব দ্রুতই বাকী পেট্রোল স্টেশনগুলোও শূন্য হয়ে যায়।
এ দিকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান জানিয়েছেন, গণপরিবহন ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর জন্য যথেষ্ট জ্বালানি মজুত আছে। তবে হাসপাতাল, জরুরি সেবা কর্মী এবং ট্যাক্সিচালকরা তাদের গাড়ির জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন।