Certificate: ফিটনেস সার্টিফিকেটে সরকারি সীলমোহর নিতে ঘুষ তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৫ সেপ্টেম্বর।। এসপিও পদে নিয়োগের জন্য যুবক যুবতীদের তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে ফিটনেস সার্টিফিকেটে সরকারি সীলমোহর নিতে এলে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা ৫০ টাকা করে ঘুষ চাইছে বলে অভিযোগ করেন এসপিও পদে চাকরির জন্য কাগজপত্র জমা দিতে আসা যুবক যুবতীরা৷

ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে শনিবার দুপুর নাগাদ৷ খবরে জানা যায়, শনিবার ছিল সরকারি ছুটি৷ সেই অনুযায়ী তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের অফিস বন্ধ৷

কিন্তু আগামী সোমবার এসপিও পদে কাগজ জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় শনিবার বন্ধের দিনেও এসপিও পদের জন্য যুবক-যুবতীরা ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমায়৷ তখন হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা যুবক যুবতীদের জানায়, যে দুপুর দুইটার পর থেকে দেওয়া হবে ফিটনেস সার্টিফিকেটে সরকারি সিলমোহর৷

কিন্তু  দুপুর দুইটার পর আচমকাই বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা বলতে থাকে আজ কোন সরকারি সীলমোহর প্রদান করা যাবে না৷ কারণ, আজ সরকারি ছুটি৷ কিন্তু বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের যদি ৫০ টাকা ঘুষ দেওয়া হয় তবে তারা একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারে৷ এই কথা শোনার পর এসপিও পদে চাকরির জন্য আগত যুবক-যুবতীরা প্রতিবাদ করতে থাকে৷

তারা জিজ্ঞেস করতে থাকে কেন তাদের দিতে হবে সরকারি হাসপাতালে ৫০ টাকা করে? কিছু সময়ের জন্য হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় উত্তেজনা৷ অপরদিকে হাসপাতালের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, শুক্রবারও নাকি হাসপাতালের একটি চক্র ২০ টাকা করে ঘুষের বিনিময়ে এসপিও পদের প্রার্থীদের ফিটনেস সার্টিফিকেটে সীলমোহর প্রদান করেছে৷

তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের আরেকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত খবর, হাসপাতালের চিকিৎসক  ডাক্তার সৌমেন দাসের প্রত্যক্ষ মদতেই নাকি হাসপাতালে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা এই ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে৷ এ প্রসঙ্গে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে সরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের ইনচার্জ সুমন পালের কাছে ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালান৷

যদিও যুবক-যুবতীদের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সামাল দিতে কিছুক্ষণ পর থেকে হাসপাতালের কর্তব্যরত দুই চিকিৎসক প্রণয় দাস ও অনির্বাণ ভৌমিক এসপিও পদে চাকরি প্রার্থীদের ফিটনেস ফর্মে স্বাক্ষর এবং সরকারি সীলমোহর দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন৷

এখন প্রশ্ণ হলো তবে কি প্রকৃতপক্ষেই হাসপাতালে একটি চক্র এই ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে পরোক্ষ ভাবে জড়িত? এই ব্যাপারে মহকুমা চিকিৎসা আধিকারিক কি ব্যবস্থা নেয় সে প্রশ্ণই উকি মারছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলে৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?