অনলাইন ডেস্ক, ২৫ সেপ্টেম্বর।। ভারতীয় বাংলা সিনেমার নায়িকা নুসরাত জাহানের সঙ্গে তার সাবেক স্বামী নিখিল জৈনের টানাপড়েন আবার নতুন মোড় নিল। ভেঙে-যাওয়া সম্পর্কে দেখা দিল নতুন মোচড়।
নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের নিরিখে কোনও দিনই তিনি ‘লিভ ইন’ শব্দটি ব্যবহার করেননি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নুসরাত জাহান। নিজের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে গিয়ে নিখিলের পাঠানো আইনি নোটিসের দু’টি লাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি।
তাতে লেখা আছে, ‘in the circumstances the plaintiff is also not in a position to continue the relation or the union or the live in relationship.’
অর্থাৎ, নুসরাত বলতে চেয়েছেন নিখিলই প্রথম ‘লিভ ইন’ বা ‘একত্রবাস’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি নন।
নিখিল পাল্টা বলেছেন, ‘আমি একত্রবাস শব্দটা ব্যবহার করব কী করে? আমি তো নিজে তাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছিলাম! নুসরাত আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমি তাকে বের করে দিইনি। যখন বুঝলাম, ও যশের সঙ্গেই এখন থাকবে, তখন আইনি নোটিস পাঠাই’।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের মামলায় আইনি নোটিস দিলে সেখানে ‘পরিস্থিতি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আইনের মাধ্যমে যদি কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়, তা হলে আইনি ভাষায় পরিষ্কার জানাতে হয় সেই ব্যক্তির সঙ্গে কোনও ধরনের সম্পর্ক, মিলন বা একত্রবাস করা সম্ভব নয়। সুতরাং ‘একত্রবাস’ শব্দটি আইনি ভাষায় ব্যবহার করা সঙ্গত।
নিখিলের বক্তব্য, পুরো আইনি নোটিসটি দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। নিখিল বলছেন, পুরো আইনি নোটিসটি পড়লে দেখা যাবে, তার প্রথম লাইন ছিল, ‘আমি নুসরাতকে বিয়ে করেছি’।
নিখিল আরও বলছেন, তাঁর স্কুলের ছোটবেলার বন্ধুকে নিয়ে যে ধরনের শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা ন্যক্কারজনক। সেই বন্ধুটির বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে বন্ধুর যৌন সম্পর্কের যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতেও বেশ ক্ষুব্ধ নিখিল। তাঁর কথায়, ‘সে আমার ছোটবেলার বন্ধু। তার পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠতা। সেই ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এত নোংরা ব্যাখ্যা করা হল?’
তবে তিনি মনে করেন, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরাতের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁদের সন্তান ঈশান জন্ম নিয়েছে। নিখিলের বক্তব্য, ‘নুসরাত পরিবার পেয়েছে। তা নিয়ে সুখে থাকুক। আমার সম্পর্কে এসব বলে সে কী প্রমাণ করতে চাইছে?’