অনলাইন ডেস্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর।। কাবুলে পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার এক মাস যেতে না যেতেই আফগানিস্তানের নতুন তালেবান শাসকরা ভয়ঙ্কর সব আভ্যন্তরীণ শত্রুদের মুখোমুখি হচ্ছে, যারা তালেবানদেরই শহুরে যুদ্ধের অনেক কৌশল অবলম্বন করছে, যেসব কৌশলে তালেবানরা নিজেরাও তাদের গেরিলা যুদ্ধে সফল হয়েছিল।
তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর গত মাসে কাবুল বিমানবন্দরের ভয়াবহ হামলা এবং পূর্ব জালালাবাদে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ, ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় সহযোগী সংগঠন যেসব হামলার দায় স্বীকার করেছে, এসব হামলা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার প্রতি নতুন হুমকি হয়ে উঠেছে। তালেবানরা এই হিংস্র জঙ্গিদেরকে তাদের সরকারে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারেনি।
তবে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আইএস এর হুমকি অস্বীকার চলতি সপ্তাহে বলেছেন যে, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের কোন কার্যকর উপস্থিতি নেই।
কিন্তু তালেবানের মাঠের কমান্ডাররা আইএস এর হুমকি এত হালকাভাবে উড়িয়ে দেন না।
তালেবান আন্দোলনের গোয়েন্দা বিভাগের দুই সদস্য যারা জালালাবাদে সাম্প্রতিক কিছু হামলার তদন্ত করেছিলেন তারা ভারতের টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন যে, হামলার কৌশলগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে যে, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী একটি বিপদ হিসেবেই রয়ে গেছে, যদিও কোনো অঞ্চল দখলের জন্য তাদের পর্যাপ্ত যোদ্ধা এবং সম্পদ নেই।
তারা যেভাবে স্টিকি বোমার ব্যবহার করছে- এমন চুম্বকীয় বোমা যেগুলি সাধারণত গাড়ির নীচে আটকে থাকে- তালেবানরাও ঠিক একইভাবে সাবেক সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালাতো।