স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২১ সেপ্টেম্বর।। রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদের উপর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এজন্য কৃষক কল্যাণে বহুমুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার প্রকৃত অর্থেই কৃষক বান্ধব।
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় আজ তেলিয়ামুড়া মহকুমার গামাইবাড়িতে কৃষকবন্ধু কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি কার্যালয় এবং ব্ৰহ্মছড়াতে খোয়াই জেলাভিত্তিক মাশরুম বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের দ্বারোদঘাটন করে একথা বলেন। তিনি বলেন, কৃষকরা কৃষি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন তথ্যের জন্য এবং সমস্যা নিরসনে এই কৃষকবন্ধুকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে গুরুত্ব দিয়েছে। রাজ্যের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বর্তমানে বহির্রাজ্যে এমনকি বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় রাজ্যের কাঁঠাল, আনারস, লেবু ইত্যাদি ফল দুবাই, কাতার সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।
রাজ্যে বর্তমানে ২৫টি কৃষকবন্ধু কেন্দ্র রয়েছে। ৮টি মাশরুম বীজ উৎপাদন কেন্দ্রও রয়েছে রাজ্যে, যেগুলির মাধ্যমে গ্রামের মহিলারা মাশরুম উৎপাদন করে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন বলে অভিমত প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ২ লক্ষ ৩৪ হাজার কৃষক কিষান সম্মাননিধির সুবিধা পাচ্ছেন। ৩ লক্ষ কৃষককে প্রধানমন্ত্রী ফসলবীমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্যে কৃষকদের মাথাপিছু আয় ১১ হাজার ৯৬ টাকা। বর্গাচাষীদের জীবনমান উন্নয়নেও সরকার সুসংগঠিত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায় রাজ্য সরকারের মুখ্যসচেতক বিধায়ক কল্যাণী রায়, বিধায়ক ডা. অতুল দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. দেবপ্রসাদ সরকার, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনীভূষণ জমাতিয়া প্রমুখ।