তেলিয়ামুড়া থানাধীন তুইথামপুই এলাকায় পুত্র কর্তৃক পিতাকে অপহরণের ঘটনায় তদন্তে নেমে বেঙ্গালুরু থেকে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত পুত্রকে আটক করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে এলো বৃহস্পতিবার রাতে।
জানা যায়,তেলিয়ামুড়া থানাধীন তুইথামপুই এলাকা থেকে গত কিছুদিন পূর্বে জহরলাল জমাতিয়া নামে এক ব্যাক্তির স্ত্রী তেলিয়ামুড়া থানায় এসে জানায় যে, গত ১৭ ই আগস্ট থেকে উনার স্বামী বাড়ি থেকে নিখোঁজ। সেই সাথে উনার ছোট ছেলে সুখ সাধন জামাতিয়াও নিখোঁজ।
এ বিষয়ে ওই মহিলা তেলিয়ামুড়া থানায় মৌখিক অভিযোগ করার পর তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ একটি অপহরণের মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে। যার মামলা নম্বর ১০৮।অভিযোগের তীর ছোট পুত্র সুখ সাধন জামাতিয়া দিকে।
তুই থামপুইস্থিত বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু জায়গায় রক্তের ছাপ দেখতে পায় ।
পরবর্তীতে গত কিছুদিন পূর্বে ওই এলাকার একটি জঙ্গল থেকে একটি কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। পরিবার-পরিজন ও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই কঙ্কালসার মৃতদেহটির জহরলাল জমাতিয়ার। যদিও এখনো পর্যন্ত ডি.এন.এ টেস্টের আসল রিপোর্ট আসেনি। যতক্ষণ পর্যন্ত ডি.এন.এ টেস্টের আসল রিপোর্ট বেরিয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব নয়।
মোবাইল নেটওয়ার্কিং-এর উপর ভিত্তি করে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের একটি দল বেঙ্গালুরুর একটি জায়গা থেকে বেঙ্গালুরু পুলিশের সহায়তায় সুখ সাধন জামাতিয়াকে ১৪ই সেপ্টেম্বর আটক করে। পরবর্তীতে স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। পরে স্থানীয় আদালতের আদেশ অনুসারে ১৬ ই সেপ্টেম্বর বিমান যোগে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসা হয় তাকে। শুক্রবার অভিযুক্ত পুত্র সুখ সাধন জামাতিয়াকে খোয়াই আদালতে তোলা হয়।
এমনই তথ্য তুলে ধরেছেন তেলিয়ামুড়া থানার ও.সি নাড়ুগোপাল দেব। অভিযুক্ত পুত্র সুখ সাধন জমাতিয়া পিতা জহরলাল জমাতিয়াকে খুনের অভিযোগ নিজ মুখে স্বীকার করছে। সে জানায়,তার পিতা জহরলাল জমাতিয়া মদমত্ত অবস্থায় বাড়ি এসে প্রায়শই মারধর করতো। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে সে তার পিতাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে।
তার মৃত্যু নিশ্চিত হলে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর সে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেঙ্গালুরু চলে যায়। পুত্র কর্তৃক পিতাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্র সুখ সাধন জমাতিয়ার উপযুক্ত শাস্তি হোক চাইছে গোটা সভ্য সমাজ।