আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। অধিকাংশ সদস্য মনে করেছেন, আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিক ও যে সব আফগান তাদের সাহায্য করেছিলেন, তাদের উদ্ধার করতে দেরি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিকভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেননি।
ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর কাগ পদত্যাগ করেন। এ সময় কাগ বলেন, ‘পার্লামেন্টের মনে হয়েছে, মন্ত্রিসভা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছে। একজন দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী হিসেবে আমি দায় স্বীকার করতে বাধ্য। ’
অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৭৮টি ও বিপক্ষে ৭২টি ভোট পড়ে। যদিও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিগরিড কাগের না থাকাটা একটা বিরাট ক্ষতি।
পার্লামেন্ট বিতর্কে কাগ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছিল। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
আফগানিস্তানে যে ডাচ নাগরিকেরা ছিলেন এবং সেনাদের সহায়তাকারী আফগান অনুবাদকদের উদ্ধারে দেরি হয়েছে। সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করা আফগানদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।
সব মিলিয়ে দুই হাজার একশ মানুষকে আফগানিস্তান থেকে নিয়ে আসতে পেরেছে নেদারল্যান্ডসের সরকার।
গত মে মাসে কাগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এর আগে তার হাতে বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার ছিল।
তার আগে তিনি জাতিসংঘে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র বন্ধ করা সংক্রান্ত মিশনের প্রধানও ছিলেন কাগ। লেবাননে জাতিসংঘের কাজের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বেও ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পদত্যাগ করার পরেও তার বামপন্থী দল ডি৬৬-র নেতৃত্ব দিতে চান কাগ। তার দল ক্ষমতাসীন জোটে আছে।