স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ সেপ্টেম্বর।। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশের। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
গৌতম দাশের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সহ বিভিন্ন মহল থেকে গৌতম দাশ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করা হয়েছে। চলতি মাসেই করোনা আক্রান্ত হন গৌতমবাবু।
বয়সজনিত কারণে আগে থেকেই বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জটিলতা আরও বাড়ে। চিকিত্সার জন্যই তাঁকে গত ৬ সেপ্টেম্বর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় যাওয়া হয়। কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি।
গতকাল রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় গৌতমবাবুর। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।তাত্পর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সিপিএম নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
দেহ যাতে ত্রিপুরায় পৌঁছাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করছেন তৃণমূল নেতা।
বাম ছাত্র আন্দোলন থেকে ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন গৌতম দাশ। একটা সময় জাতীয় স্তরে এসএফআইয়ের শীর্ষ নেতা ছিলেন গৌতমবাবু। দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
সিপিএমের মুখপত্র ডেইলি ‘দেশের কথা’ সংবাদপত্রেরও সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালেই তিনি বিজন ধরের হাত থেকে দলের মুখপত্র পরিচালনের দায়িত্ব নেন। রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর ডেইলি ‘দেশের কথা’ প্রকাশ করতে একাধিকবার সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে।
কিন্তু তাতেও দমে যাননি। গৌতম দাশের প্রয়াণে সিপিএম দলে বড় শূন্যতার সৃষ্টি হল। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় বামেরা ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। দল থেকে অনেক কর্মীই বিজেপি এবং তৃণমূলে যাচ্ছেন।
দলে ভাঙন রুখতে যে সময় শক্ত নেতৃত্বের প্রয়োজন, তখনই গৌতমবাবুর প্রয়াণে দলের সংগঠন নিয়েও চাপ বাড়ল সিপিএমের উপর। এই পরিস্থিতিতে কে সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হন, সেটাই এখন দেখার।