Risk: করোনা আবহে ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর কারণে কর্মীদের মধ্যে অকালমৃত্যু বেড়েছে ২৯ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক, ১৪ সেপ্টেম্বর।। করোনায় সবচেয়ে বেশি শোনা শব্দগুলোর মধ্যে আছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। শুনতে আরামদায়ক শোনালেও এতে হিতে বিপরীতই হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে কাজের বেলায় সিরিয়াস কর্মীরা এতে নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বাড়িতে বসে কাজ করার কারণে কর্মীদের মধ্যে অতিরিক্ত সময় কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। যার পরিণামে বেড়েছে অকালমৃত্যু। শতাংশের হিসাবে সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়।

১৯৪ দেশের তথ্য পর্যালোচনা করে ডাব্লিউএইচও জানালো, ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর কারণে কর্মীদের মধ্যে অকালমৃত্যু বেড়েছে ২৯ শতাংশ।

এর কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাসায় বসে কাজ করার সময় থাকে না সময়জ্ঞান। প্রায় প্রত্যেককেই সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়েছে। অথচ ৮ ঘণ্টা করে ৫ দিন তথা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টাই হলো যেকোনো চাকরির জন্য আদর্শ সময়।

এর বেশি কাজ করতে হলেই সেটাকে ‘হেলথ হ্যাজার্ড’ তথা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। আর সপ্তাহে কর্মঘণ্টা ৫৫ ঘণ্টা ছুঁলেই স্ট্রোক করার আশঙ্কা বাড়ে ৩৫ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি সময় কাজ করলেই স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ বাড়বে, ঘুম হবে কম এবং তা হৃৎযন্ত্রের ক্ষতি করবে।

এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হলো, কর্মীদের ওভারওয়ার্কিং ইসু নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা মাথা না ঘামালে, তা কর্মীদের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক ক্ষতিও করবে। এতে আদতে কোনও প্রতিষ্ঠান এগোতে পারবে না।

অন্যদিকে, সঠিক কর্মঘণ্টা নিশ্চিত করলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয় কর্মীদের। অল্প সময়েই তখন প্রয়োজনীয় কাজটা সম্পন্ন হবে। এতে কর্মীর উৎপাদনশীলতাও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায়।

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?